ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত দুইপ্রার্থীর বাড়ি পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘিরে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, চাঁদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসার চারদিক ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা, এসপি ও ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করতেও পারছেন না শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তারা ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
রিজভী বলেন, বিএনপির এ প্রার্থীর বাড়ির চারদিকে অ্যাম্বুস করে রেখেছে, যেন তিনি বাড়ি থেকে বের হলেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বাসা আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছে বলে জানান রিজভী।
তিনি বলেন, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বাসার সামনে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে আছেন তারা।
এ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ বলে জানান তিনি।
রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিজেরাই নিজেদের অফিসে বোমা মেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে ৩২ জনকে জ্ঞাত ও ১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
‘গতরাতে পুলিশ বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বাসায় তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালিয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হুমকিতে হাবিব বর্তমানে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
রিজভী বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও তিনবারের সাবেক মেয়র ওহিদুল আলম বিশ্বাস এখনও পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী শরীফুজ্জামানের বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।
‘এ ছাড়া কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহানকে বাসায় না পেয়ে গতরাত ৩টায় তার আপন ভাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।’