গাজীপুর: গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী কারাবন্দি ফজলুল হক মিলনের স্ত্রী শম্পা হকের প্রচারে বাধা, গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে গাজীপুরের পূবাইলের মাজুখান বাজারের কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত চার নেতাকর্মী। যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
ফজলুল হক মিলনের স্ত্রী শম্পা হকের অভিযোগ, তিনি আজ সকাল থেকে পূবাইল থানা এলাকায় প্রচার শুরু করেন। গণসংযোগে এসে তিনি প্রতি পদে পদে বাধার সম্মুখীন হন।
মেঘডুবী হয়ে বেলা ১২টার দিকে মাজুখান বাজারে গণসংযোগে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তার গাড়িতে হামলা চালায়। গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলে। সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা চালায় তারা।
এতে কালীগঞ্জ থানা মহিলা দলের সভানেত্রী চামেলী হক, পূবাইল থানা যুবদল নেতা সোহেল রানা, পলাশ রানা ও মেহেদী হাসান আহত হন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শম্পা হক আরও জানান, গণসংযোগের সময় পুলিশ যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে আটক করেছে। তারা হলেন-আওলাদ ও মাসুম সরকার।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার সময় পুলিশ কাছাকাছি ছিল। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। খোঁজ নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর-৫ আসন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী ফজলুল হক মিলন। ধানের শীষ প্রতীকের এ প্রার্থীকে ১৩ ডিসেম্বর কালীগঞ্জের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাবন্দি। তার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের সাবেক ভিপি শম্পা হক।