রোয়াও তেশেইরা দে ফারিয়া (৭৬) নামে ব্রাজিলের বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্মিক এক গুরুর বিরুদ্ধে অন্তত ৩০০ নারীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ ওঠার পরই চম্পট দিয়েছেন তিনি।
ধর্ষণের মামলায় গত শনিবার ওই আধ্যাত্মিক গুরুকে আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফারিয়ার কোন হদিস মিলেনি। ভয়ে তিনি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশটির পুলিশ ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। খবর দ্য টেলিগ্রাফ’র।
ব্রাজিলের ওই আধ্যাত্মিক গুরু ১৯৭৬ সাল থেকে দেশটির ছোট শহর আবাদিয়ানায় কথিত আধ্যাত্মিক চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। প্রতিবছর তার দ্বারস্থ হতেন হাজারো ব্রাজিলিয়ান। তবে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পান ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে ২০১৩ সালে ওই কথিত গুরুকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করার পর। এরপর থেকে ওই কথিত গুরুর কাছে চিকিৎসা নিতে বিদেশীরাও তার দরবারে হাজির হতেন।
ওই আধ্যাত্মিক গুরুর বিরুদ্ধে প্রথম একজন ডাচ আলোকচিত্রী গ্লোবা টিভিকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন। ওই নারীর ভাষ্য, তাকে চিকিৎসার নাম করে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেছে। এরপর আরো প্রায় ৬ জন ব্রাজিলিয়ান নারী ওই কথিত গুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। এছাড়া ২৫৮ জনের বেশি নারী ফারিয়ার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন।
তবে সবার অভিযোগ অস্বীকার করেন আধ্যাত্মিক গুরু ফারিয়া। এক বিবৃতিতে ওই গুরুর পক্ষে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী ফারিয়া আধ্যাত্মিক শক্তির বলে হাজারো মানুষের চিকিৎসা করেছেন।