ফেনী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে কিছু ছদ্মবেশী মুক্তিযোদ্ধা ও ছদ্মবেশী গণতন্ত্রী বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব অপশক্তিকে পরাজিত করাই হবে বিজয়ের এই দিনের শপথ। তিনি বলেন, কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। যতই চক্রান্ত হোক, নির্বাচন যথাসময়ে হবে।
আজ রোববার বিজয় দিবসের সকালে ফেনীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুশাসন নিশ্চিত করতে যতই চ্যালেঞ্জ আসুক, তা আমরা মোকাবিলা করব। মঙ্গাকে যেমন আমরা জাদুঘরে পাঠিয়েছি, তেমনি ভবিষ্যতে দারিদ্র্য ও বেকারত্বকেও জাদুঘরে পাঠাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হবে।’
নোয়াখালীতে বিএনপির প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের ছররা গুলিতে আহত হওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিজেরাই পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চায়। হামলার ছক তারাই তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তারা পুলিশকে বাধ্য করেছে হস্তক্ষেপ করতে। সে অবস্থায় মাহবুব উদ্দিন খোকন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর গায়ে ছররা গুলি লেগেছে। তাঁকে হাসপাতালেও থাকতে হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি বাসায় ফিরে গেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির হামলায় ইতিমধ্যেই নোয়াখালী ও ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী নিহত হয়েছেন। বিএনপির কোনো কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়নি। আহত-নিহত হয়েছি আমরাই। এ থেকে বোঝা যায়, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী তারাই; আওয়ামী লীগ নয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, জেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মিয়াজিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এর আগে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফেনী প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।