ঢাকা: রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসের উপর হামলা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আরো কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছলে বাশ, লাঠি, রড, চাপাতি হাতে ৩০/৪০ জনের একদল যুবক মির্জা আব্বাসের উপর হামলা চালায়। মির্জা আব্বাসকে এসময় ঘিরে ধরে কোনরকমে রক্ষা করেন তার নেতা-কর্মীরা।
হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মির্জা আব্বাসের সাথে থাকা কর্মীরা। আহতরা হলেন- শ্রমিক দল নেতা আওয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল কালাম, শাহাদাত হোসেন, নুর আলম, মোঃ রানা, মহিলা দল নেত্রী জাহানারা বেগম, বিলকিস, মনি, রাশিদা, নিরাপত্তারক্ষী কফিল উদ্দিন, জাহিদ হোসেন, আলম, আবদুস সালাম, ছাত্রদল নাদিয়া পাঠান পাপন, বিএনপি নেতা মানিক, যুবদল নেতা ইমন, শওকত আলী স্বপন, মিজান, আলীমুদ্দিন প্রমুখ। অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার শিকার হওয়া কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
হামলার প্রতিবাদে দুপুরে মির্জা আব্বাস তার শাজাহানপুরস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ এভাবে সহিংস আক্রমণ চালাবে আমি ভাবতেও পারিনি।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আহত নেতাকর্মীদের মাথায়, পিঠে, হাতে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, এই হচ্ছে সারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সরকার বলছে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না । আসলে আমাদেরকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে রাখবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। আমরা নির্বাচন করতে পারবো কিনা এ বিষয়ে দেশের জনগণের মাঝে সন্দেহ রয়েছে। আমি সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে চাই, আসলে সরকার কি চায়? বিএনপিকে নির্বাচন করতে আদৌ দেবে কি দেবে না এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার সময় সরকার বলেছিল, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে নতুন কোন মামলা হবে না এবং পুরাতন মামলায় গ্রেফতার করা হবে না। এই বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, নতুন নতুন গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে। আমরা নির্বাচনে থাকতে চাই বলেই সরকারের এই আক্রোশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পালানোর সুযোগ আমাদের নেই। আজ আমার ওপর হামলা হয়েছে, চার দিন আগে ঢাকা-৯ নির্বাচনী আসনের ধানের শীষের প্রার্থী, আমার সহধর্মীনি আফরোজা আব্বাসের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু হামলা মামলা যতই হোক নির্বাচনের মাঠ আমরা ছাড়বো না।