মাসুদ পারভেজ কাপাসিয়া (গাজীপুর): পরিবারের দারিদ্রতার কারনে বিদ্যালয়ের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী মুকছানাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিক্ষা দিতে না দেয়ার ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রচারের পর কাপাসিয়া থানার ওসি’র নজরে আসে। গতকাল সোমবার সকালে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক হঠাৎ বিদ্যালয়ে হাজির হন। তিনি মুকছানার পরিবারকে খবর দিয়ে বিদ্যালয়ে এনে পাওনা পরিশোধ করে দেন।
জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কপালেশ^র উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী মুকছানার পরিবার পাওনা টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বার্ষিক পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করেন কর্তৃপক্ষ। সে চলতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষায় ৬টি বিষয়ে অংশ নিলেও সপ্তম বিষয়ের পরীক্ষায় তাকে অংশ নিতে না দিয়ে দুর্ব্যবহার করে বের করে দেয়। এ ব্যাপারে গত রোববার মুকছানার পিতা অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোহাম্মদ আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমাত আরার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর কাপাসিয়া থানার ওসি মুকছানার পরিক্ষার ফিসহ পড়ালেখা করার সকল খরচ বহন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সোমবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয় অফিস কক্ষে শিক্ষক মন্ডলী, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সসদস্যবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ওসি আবু বকর সিদ্দিক ওই ছাত্রীর জন্য সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানান। পরে বিদ্যালয়ের সকল পাওনা পরিশোধ করার পর তাকে পরিক্ষার সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় ওসি’র এ মহানুভবতায় উপস্থিত সকলেই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ, উপজেলার বড়িবাড়ি গ্রামের মুকছানার দরিদ্র পিতা অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোহাম্মদ আলীর ৪ কন্যা ও ২ পুত্র। তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে অনার্সে অধ্যয়নরত। ২ মেয়ে স্থানীয় কপালেশ^র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। দরিদ্র পিতার পক্ষে সংসার ও ছেলে মেয়েদের ভরন-পোষন করা সম্ভব নয়। সে সমাজের ভিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।