নাটোরের সিংড়ার তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগ্রাছি গ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেয়া আওয়ামী লীগের কর্মীরা বেরিয়ে এলে তাদের সাথে সংঘর্ষে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ রবিবার বিকেল ৫ টায় তাজপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত রাখালগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে হামলার এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। তারা মৌখিকভাবে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী দাউদার মাহমুদ অভিযোগ করেন, আজ রবিবার রাখালগাছিতে তাদের শান্তিপূর্ণ উঠান বৈঠকে তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে একদল আওয়ামী লীগ কর্মী। এসময় তাদের লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয় বিএনপির ১২ জন কর্মী। যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তাদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত দেখে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আমরা মতবিনিময় করছিলাম রাখালগাছিতে। দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক চলার সময় হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে বিএনপির ১০-১৫ জন কর্মী। এসময় কার্যালয়ের দরজার দিকে বসা আওয়ামী লীগের দুই কর্মী আহত হন। নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নেয়ামুল আলম জানান, হামলার ঘটনাটি শুনেছেন দুই দলের কর্মীদের মুখেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহতো বলেন, দুই দলই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে মৌখিকভাবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কোন উপায়ে নির্বাচনে পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখা হবে।