মো. সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামে ৪ টি লেপ-তোষকের দোকান, দুটি তুলার গোডাউন ও একটি বসতঘরে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যুতিক শটর্ সাকিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর লিডার প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। আগুনে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর লিডার আবুল কাসেম ধারণা করলেও ভুক্তভোগীদের দাবি দোকান, তুলার গোডাউন ও বসতঘর আগুনে ১৪/১৫ লাখ টাকার মালামাল তাদের পুড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর কালীগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামে লেপ -তোষকের দোকানে আগুন লাগলে দোকানের মালিকপক্ষ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কালীগঞ্জ স্টেশনকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে কিছু মালামাল মালিকপক্ষের লোকেরা সরাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যায়।
লেপ-তোষকের দোকানের মালিক মো. শামীম খান বলেন, আগুনে তার একটি দোকান, কাপড়, তুলা, সেলাই মেশিন রাখা গোডাউন পুড়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল ছাই হয়ে গেছে। তার বড় ভাই মোস্তফা খানের তুলার গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
ভুক্তভোগী মোস্তফা খান বলেন, আগুনে তার লেপ-তোষকের দোকানসহ তুলার গোডাউন পুড়ে প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকা মালামাল পুড়েছে । আগুনের মূল কারণ কিভাবে ঘটলো তা সে সঠিক ভাবে বলতে পারেনি। তবে তার ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে আগুন লাগতে পারে। গোডাউনটি তারা তিন ভাই তুলাসহ মূল্যবান মালামাল রেখে তা তারা ব্যবহার করতো বলে সে জানায়।
মোবারক খানের ছেলে দোকানের মালিক মোশারফ খান বলেন, আগুনে চেয়ার-টেবিল, ফোম, সোফা, টিভি ও ফ্যান রাখা গোডাউনটি পুড়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভূস্মীভূত হয়েছে। অন্যদিকে দোকানের লেপ-তোষক সহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে আরেক ভুক্তভোগী আব্বাস আলীর ছেলে সেন্টু জানান।
লেপ-তোষকের আগুন মুর্হুতে ছড়িয়ে পড়ে দোকানের পিছনে মোস্তফার বোন মাসুদা বেগমের বসতঘরে আগুন লেগে পুড়ে গেছে। এতে তার ঘরের সকল জিনিসপত্র পুড়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মাসুদা দাবি করেন।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও ওসি মো. আবু বকর মিয়া। পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তরফ থেকে ভুক্তভোগীদের মাঝে ১৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন ইউএনও খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর লিডার আবুল কাসেম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে তুলার গোডাউনে আগুন লেগেছে। তুলার আগুন অতি দ্রæত ছড়ায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা চেষ্টা করে আগুণ নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই। ৪টি দোকান, দুটি গোডাউন ও একটি বসত ঘরে আগুন লেগে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বকর মিয়া বলেন, আগুনে তেপ-তোষকের দোকান ও বসতঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাতটি কিভাবে হয়েছে তা জানা যায়নি।