ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জেলা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বিএনপি দলীয় মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর থেকেই ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছেন নেমেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা এখনো শুরু হয়নি, তবে এখন দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও উদ্বুদ্ধ করার কাজ করছেন তিনি।
এ ছাড়া সরাইল ও আশুগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মতবিনিময় সভা করে ধানের শীষের পক্ষে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। টেলিভিশন টকশোর পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার এলাকায় ইতিপূর্বে তেমন পরিচিত না থাকলেও বিভিন্ন এলাকায় তার জ্বালাময়ী বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পরিচিতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ‘কে এই ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, তাকেই দরকার এলাকায়’- এমন মুখরোচক আলোচনা চলছে এখানকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই সরাইল সদর ইউনিয়নের পাঠানপাড়ায় নিজ বাসায় বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে তিনি দফায় দফায় মতবিনিময় সভা করছেন। এ ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বাসায় গিয়ে কুশল বিনিময়সহ নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে মতবিনিময় করে যাচ্ছেন।
এ ব্যপারে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক ছিলেন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন জননন্দিত নেতা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাভী মার্কায় ৪২ হাজার ভোট বেশী পেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহের উদ্দিন ঠাকুর(সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী) নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে ক্ষমতাসীনরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ঢাকায় নিয়ে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয়ী ঘোষনা করেছিলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, বাবার হারানো সেই আসনটি পুনরুদ্ধার করতেই আমি মাঠে নেমেছি। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনতাকে সাথে নিয়ে মাঠে নেমেছি, ইনশাল্লাহ মাঠেই থাকব।
তিনি আরও বলেন, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাগারের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে বন্দী। আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না। ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করা ছাড়া আর আমাদের কোনো পথ নেই। দলের প্রতি আমার ত্যাগ বিবেচনায় দলের পক্ষ থেকে আমাকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলে পিতার হারানো এ আসনটি উদ্ধার করে দলকে উপহার দিতে পারব ইনশাল্লাহ।
এছাড়া দলীয়ভাবে যাকেই এ আসনে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে তারঁ হয়েই ধানের শীষের পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।