ঢাকা:সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেতে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনে জাতীয় পার্টির সোহেল রানা, রুহুল আমীন হাওলাদার, বিএনপির রহুল ক্দ্দুুস তালুকদার দুলুসহ ২৩৪ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন। প্রথমদিনে আপিল করেছেন ৮৪ জন। বুধবার আপিলের শেষ সময়। এ পর্যন্ত মোট ৩১৮টি আপিল আবেদন পড়েছে। মঙ্গলবার জমা হওয়া ২৩৪টি আপিলের মধ্যে রংপুর বিভাগের ২৭টি, রাজশাহী বিভাগের ২২টি, ঢাকা বিভাগের ৬৮টি, বরিশালের ১২, সিলেট বিভাগের ১৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ১৬টি, খুলনা বিভাগের ১৮টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬টি। এছাড়াও বগুড়া ৪ আসনের প্রার্থী হাফিজুর রহমান আরেক প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। এদিকে মঙ্গলবার প্রার্থীদের আপিল গ্রহণ করা আট বিভাগের ডেস্কগুলো পরিদর্শন করেন ইসি কমিশনার মাহবুব তালুকদার। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপিলকারীদের প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করা হবে না।
গত ২রা ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ-অবৈধ হয়েছে, তাদের আপিলের শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে আদালতের মতোই শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন একটি আধাবিচারিক সংস্থা। নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদাও হাইকোর্টের বিচারপতিদের সমান। শুনানিতে আপিলকারীরা তাদের আইনজীবী নিয়ে আসতে পারবেন। সেখানে আদালতের বেঞ্চ’র মতো করেই তারা মুভ করবেন। সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করে। সংক্ষুব্ধরা ইসির সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হলে আদালতেও যেতে পারবেন।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের ১১ তলায় শুনানি হবে। ২৮শে নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে ৩০৬৫ টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র ৪৯৮টি। ২রা ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাই। ওইদিন ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে-বিএনপির ১৪১টি, আওয়ামী লীগের ৩টি এবং জাতীয়পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি। আগামী ৯ই ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০শে ডিসেম্বর ভোট হবে।