মাসুদ পারভেজ কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: আদালতের বিচারক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে মামলায় সহযোগিতা ও চাকুরী দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাশেদুল ইসলাম সোহাগ (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে কাপাসিয়া থানা পুলিশ গত রোববার বিকেলে আটক করেছে। সে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের ভেরারচালা গ্রামের আঃ খালেকের পুত্র। তাকে সোমবার সকালে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মনিরুজ্জামান খান জানান, রাশেদুল ইসলাম সোহাগ দীর্ঘ দিন যাবত এলাকার একাধিক নিরিহ লোকজনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এবং চাকুরী দেয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ছিল। সে নিজেকে সাতক্ষীরার তৃতীয় সহকারী জজ পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করে আসছিল। এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রোববার বিকেলে এস আই রাসেলসহ কয়েকজন পুলিশ তার বাড়িতে গিলে আসল পরিচয় জানতে চায়। প্রথমে সে পুলিশের নিকট নিজেকে বিচারক বলেই দাবী করেন। পুলিশের চ্যালেঞ্জের মুখে তার আসল পরিচয় বের হয়ে আসে। সে জজ নয় স্বিকার করেন এবং জজ হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়ে এতে উর্ত্তীন হতে পারেনি বলে জানান। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো জানায়, মামলা থেকে খালাস করে দেয়ার কথা বলে মোঃ অরুন মিয়ার নিকট থেকে ৩৭ হাজার টাকা, লিটন মিয়ার কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা ও ইমাম উদ্দিনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন।
তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই মোঃ বছির উদ্দিন জানায়, সোহাগের বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ নেয়ার অভিযোগে এস আই রাসেল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।