ঢাকা: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবিহুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবিজাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারেন। আজ সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন দলটির নতুন মহাসচিব পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা।
মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মশিউর রহমান। সেখানে এরশাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘চেয়ারম্যানের অবস্থা ভালো । গতকাল রাতেও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তাঁর বাসায় গিয়ে দেড় ঘণ্টা কথা বলেছি। আজ সকালে নাশতা করেছি। চিকিৎসার জন্য তিনি দেশের বাইরে যেতে পারেন। চিকিৎসক তাঁকে দেখেছেন। তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা আছে। হিমোগ্লোবিন কমে গেলে তিনি দুর্বল হয়ে যান।’ তবে এরশাদের বিদেশ যাওয়ার দিন-ক্ষণ সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি।
মহাসচিব হওয়ার পর মসিউর রহমান জাপা কার্যালয়ে এলে দলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। আজই রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে মসিউর রহমানকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
অসুস্থতা নিয়ে কয়েক দিন আগেও ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন এরশাদ। দলীয় সূত্রগুলো তখনো জানিয়েছিল, চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়া প্রয়োজন এরশাদের।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম শরিক দল এরশাদের জাতীয় পার্টি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এরশাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এখনো পর্যন্ত আসন সমঝোতা হয়নি। এরশাদের দল থেকে প্রায় ২০০ জন প্রার্থী বিভিন্ন আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে জাপা ও আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় চূড়ান্ত প্রার্থী সম্পর্কে জানা যাবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছিলেন এরশাদ। প্রার্থীরা দাখিল করেন মনোনয়নপত্র। পরে হঠাৎ আবার নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশও দেন দলীয় প্রার্থীদের। একপর্যায়ে সিএমএইচে ভর্তি করা হয় এরশাদকে। তিনি সেখানেই ছিলেন ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই নির্বাচনে এরশাদ নিজেসহ তাঁর দলের ৩৩ জন নেতা সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁর দল প্রধান বিরোধীদল হিসেবে সংসদে যায়।