ঢাকা:জাতীয় পার্টির সমর্থন না পেয়ে বগুড়া ৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয় হিরো আলম। ২রা ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করলে তিনি আজ ইসিতে আপিল করতে আসেন। কী কারণে আপনার মনোনয়নপত্র বাতিল হলো, ভুলটা কার ছিল?
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বগুড়া ৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম বলেন, আমি তো জানি আমার কোনো ভুল ছিল না। আমি এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর দিয়েছিলাম। ওখান থেকে তারা শতকরা ১০ জন সিলেক্ট করছিল। এর মধ্যে ওরা সাতজন বলে রিয়েল (প্রকৃত) পাইছে, বাকি তিনজন খুঁজে পায়নি। তারা যখন রাতে কাগজ দেয়, ওখানে দেখায় সবই ভুল। আবার তারা যখন বলল সাত জনের কথা, যখন কাগজ দিল তখন বলল তিনজনের কথা ।
এরা এদেশের লোকজন এরা কোনো দিনও চায় না, প্রজারা রাজা হোক।
এদেশের এমপি-মিনিস্টার চায় না, জনসাধারণ আমরা এমপি-মিনিস্টার হোক। কী কারণে, এরা অলটাইম চায় – এদের বউ, এদের বাচ্চা, এদের বাপ, নানা-নানি এমপি হোক। আমাদের মতো জনসাধরণদের এরা এমপি হতে দিবে না।’
তার মানে আপনারটা কী ষড়যন্ত্র করে বাতিল করা হয়েছে, প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘অবশ্যই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
কে ষড়যন্ত্র করেছে? কার ইঙ্গিত ছিল? এর উত্তরে হিরো আলম বলেন, ‘ওখানে যারা আমার কেন্ডিডেট ছিল। ওই এলাকায় আপনারা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেন, হিরো আলম ছাড়া কেউ কোনো কিছু বলে না। হিরো আলম আওয়াজ ওঠে গেছে। আমার যারা প্রতিদ্বন্ধী, সব কয়টায় মিইলা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
ওখানে আরও কয়েকজন দাঁড়ালো, তাদের মনোনয়ন বাতিল হলো না। ওখানে আরও দুইজনের বাতিল হয়েছিল, তারা কী করল, হইচই করল। গন্ডগোল লাগাতে চেষ্টা করল। তারপরে তাদেরটা গ্রহণ করা হলো।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলব, আমার ক্ষমতার জোর নাই, আমার অর্থ-সম্পদ না নাই, জোর গলায় কথা বলতে পারলাম না। আমারটা গ্রহণ করল না। তাছাড়া একবার বলল সাতটা, যখন কাগজ দিল পাঁচটা। তারা অবশ্যই আমার সঙ্গে দুর্নীতি করছে।’
আপনি কী শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চলে যাবেন?
আমি যেহেতু জিরো থেকে হিরো। লড়াই করতে করতে এতদূর আসছি। আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট আপনাদের মিডিয়া। মিডিয়া আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। মিডিয়ার সাথে জনগণের ভালোবাসা আছে। যে কারণে আমি আজ এত দূর। তাই শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো। পাই আর না পাই, বীরের মতো মাথা তুলে যাব এখান থেকে।