ঢাকা: গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার অন্যতম শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক হলেই নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হয় না। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকে কি না সেটা দেখতে হবে। কারণ এই অংশগ্রহণ এখনো পর্যন্ত অবাধ-সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের গ্যারান্টি দিচ্ছে না। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি আমাদের যে বিরাট একটি সংখ্যক তরুণ ভোটার আছে এটা আমাদের জন্য এবং রাষ্ট্রের জন্য একটি বড় সুযোগ। রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সবক্ষেত্রে তাদেরকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হলে তরুণরা বাংলাদেশকে খুব দ্রুত একটি নতুন যায়গায় নিয়ে যাবে। এবং সেক্ষেত্রে সকলকে নিয়ে একটি উন্নতির বাংলাদেশ আমরা চাই। যেখানে বিরোধ বা পার্থক্য স্বত্ত্বেও একটি অভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সবাই অংশীদার হতে পারি।
যেটা হবে জাতীয় ঐক্যের বাংলাদেশ। এবং ভয়ভীতিমুক্ত বাংলাদেশ।
মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মূল কথা হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের এতো বেশি নিয়ন্ত্রণ যে নির্বাচনের বাকী মাত্র কয়েক দিন। কিন্তু এখনো নির্বাচনের কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়নি।
আপনারা বড় কোনো জোটের সঙ্গে কেন নির্বাচনে গেলেন না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যে লক্ষ্য এবং কর্মসূচি সেটার সঙ্গে অন্যদলগুলোর আদর্শগত পার্থক্য আছে। সেই পার্থক্যের বিবেচনায় আমরা আমাদের অবস্থান থেকে লড়াই এবং নির্বাচন করছি।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কেনো হচ্ছে না এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও কাঠামোর মধ্যে আছি। ফলে যারা ক্ষমতায় আসে তারাই সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করছে। এ অবস্থায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয় না। যার ফলে আমাদের উল্লেখযোগ্য দাবি হচ্ছে, আরো ৩টি জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে হবে। এর ফলে ক্ষমতার ভারসম্য তৈরি হবে। তিনি বলেন, সংসদ বহাল রেখে এর আগে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি। কাজেই এই নির্বাচনের বিশেষত্ব হচ্ছে, সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণের ঘটনা ঘটছে। সেদিক থেকে আগামী নির্বাচনটা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থার যায়গা তৈরি হবে।