ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১৫টি আসনে বিএনপির মোট ৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাতিলের কারণ হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, তাঁরা সবাই ঋণখেলাপি। তবে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলেও ঢাকা সিটির সবকটি আসনেই বিএনপির এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ঢাকা সিটির ১৫টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা–৪ আসনে বিএনপি মনোনীত দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। খেলাপি ঋণের কারণে ঢাকা–৫ আসনে সেলিম ভুঁইয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে এই আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নবীউল্লার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। ঢাকা–৬ আসনে বিএনপি থেকে ইশরাক হোসেন ও কাজী আবুল বাশারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা দুজনের মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করেছেন। ঢাকা–৭ আসনে নাসিমা আক্তার কল্পনার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে অপর প্রার্থী মীর নওয়াজেশ আলীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ঢাকা–৮ আসনে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হয়েছে। এই আসনে দলটির অপর প্রার্থী সাজ্জাদ জহিরের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঢাকা–৯ আসনে হাবিবুর রশিদের মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলেও, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
অন্যদিকে, ঢাকা–১০ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নানসহ তিন প্রার্থী এবং ঢাকা–১১ আসনে দুই প্রার্থী, ঢাকা–১২ আসনে দুই প্রার্থী এবং ঢাকা–১৩ আসনে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। ঢাকা–১৪ আসনে আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও আবু বকর সিদ্দিকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঢাকা–১৫ আসনে আসাদুজ্জামান রিপনসহ তিন জন প্রার্থী এবং ঢাকা–১৬ আসনে দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হয়েছে। ঢাকা–১৭ আসনে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হয়েছে। তবে শওকত আজিজ নামের অপর এক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঢাকা–১৮ আসনে প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন ও এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হয়েছে।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিল গ্রহণ করা হবে ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর। আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। আর যেসব আসনে কোনো দলের একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে, সে সব আসনে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দল থেকে যে কোনো একজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে হবে। তখন অপর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে।