মানিকগঞ্জ: আফরোজা খান রিতা। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম হারুনার রশিদ খান মুন্নুর উত্তরসূরি। মানিকগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ আসনটি পুনরুদ্ধারে দায়িত্ব পড়েছে বিএনপির এই হেভিওয়েট প্রার্থীর ওপর। মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-৩ আসনে সবচেয়ে বেশিবার বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে এখানে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম হারুনার রশিদ খান মুন্নু বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে।
তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি পুনরুদ্ধারে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হারুনার রশিদ খান মুন্নুর কন্যা বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা।
রিতাও তার বাবার এই আসনটি পুনরুদ্ধারে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোখসেদুর রহমান বলেন, মানিকগঞ্জ-৩ আসনটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ আসন। এ আসনে বিএনপি ৫ বার জয়লাভ করেছে। এখানে বিগত দিনে বিএনপির প্রার্থী যারাই হয়েছিলেন তাদের জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী মরহুম হারুনার রশিদ খান মুন্নু মানিকগঞ্জ-৩ এবং মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে দুটিতেই জয়লাভ করেন। তারই কন্যা জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতাকে তার বাবার এই আসনে মনোনয়ন দেয়ায় আসনটি পুনরুদ্ধার সহজ হবে বলে মনে করছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। মানিকগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আফরোজা খান রিতা বলেন, এখনো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এখানে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। ২০০১ সালে আমার বাবা মানিকগঞ্জ-৩ ও মানিকগঞ্জ-২ আসনে একই সঙ্গে নির্বাচন করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তার ব্যক্তি ও ধানের শীষের জনপ্রিয়তা কতটুকু। সেই গর্বিত বাবার সন্তান হয়ে আমি এই আসনটি পুনরুদ্ধার করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের হাতে তুলে দিতে চাই। এ জন্য চাই নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ। ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারলে শুধু আমার এই আসনই নয় জেলার তিনটি আসনেই আমাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।