শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মোল্যাকান্দি এলাকার একটি ফসলি জমি থেকে নিলুফা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিলুফা বেগম একই থানার ডিএমখালী ইয়াকুব ব্যাপারীকান্দি গ্রামের মনা ফকিরের মেয়ে। পুলিশের ধারণা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে নিলুফার বিয়ে হয় ভেরগঞ্জ উপজেলার মহিসার ইউনিয়নের সত্যপুর গ্রামে। তার স্বামী বাক-প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। এরপর এক বছর আগে পাশের গ্রাম বালাকান্দির এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হয়। সেই সংসারও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মাস আগে ওই নারী স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। এরপর থেকে সে বাবার বাড়িতেই বসবাস করত।
শুক্রবার বিকালে সখিপুর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।
বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা চিন্তিত হয়ে পরে। তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুঁজি করতে থাকে। পরে শনিবার বেলা ১২টার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি সরিষার জমিতে তার মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়। নিলুফা বেগমের ভাই খোকন ফকির বলেন, আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। কে আমার বোনকে হত্যা করল? আমরা হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে এ ব্যাপারে তার পরিবারও কোনো ধারণা দিতে পারছে না। হত্যাকারী ও হত্যার কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ওই নারী হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না তা ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে। অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।