এইচআইভি আক্রান্ত ১৭ জন নারী সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান ডা. শাহানারা চৌধুরী। এইচআইভি সেবা জোরদার প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালে জন্ম নেয়া এসব শিশু মায়ের বুকের দুধও পান করেছে বলে জানান তিনি।
শনিবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে চমেক হাসপাতালে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট ডা. শাহানারা চৌধুরী। তিনি বলেন, জন্ম নেয়া ১৭ শিশু সুস্থ আছে। তাদের আমরা নিয়মিত চেকআপ করি।
অনুষ্ঠানে চমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ বলেন, মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে এ হাসপাতালে প্রিভেনশন অফ মাদার টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন (পিএমটিসিটি) সেবাটি চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৪৪৫ জন গর্ভবতী বিনামূল্যে এ সেবা গ্রহণ করেছেন।
চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সাবেক প্রধান ও এইডস বিশেষজ্ঞ ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, এইচআইভি ভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি যদি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তাহলে বছরের পর বছর বেঁচে থাকতে পারবেন। এইচআইভিকে এখন মরণব্যাধি না বলে নিরাময়যোগ্য রোগ বলা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে এক ব্যক্তির এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি এখনো বেঁচে আছেন।
এখনো তিনি দ্বিতীয় ধাপে আছেন। আরও পাঁচটি ধাপ বাকী। এ রোগীর মতো আরও অনেকে বছরের পর বছর চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন।
এর আগে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে হাসপাতালের মূল ফটক থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি হাসপাতাল ও কলেজের প্রধান প্রধান স্থান ঘুরে নতুন একাডেমিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়।