বগুড়া: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া–৬ আসনে বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদের কাছে এ মনোনয়পত্র জমা দেওয়া হয়। দলের চেয়ারপারসনের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
সাজা ভোগ করায় খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনিশ্চয়তা থাকায় মাহবুবর রহমানসহ দুজনকে ডামি প্রার্থী হিসেবে বিএনপি মনোনয়ন দিয়ে রেখেছেন। খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মাহবুবুর রহমান নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া আরেকজন হলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাহ।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।
আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ওই আসনে এখন পর্যন্ত মোট চারজন জমা দিয়েছেন। ওই আসনে জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ নুরুল ইসলাম ওমর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলেও তাঁকে তিনটি আসনে প্রার্থী করেছে বিএনপি। আসনগুলো হলো ফেনী ১ এবং বগুড়া ৬ ও ৭। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে সাজা ভোগ করছেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতার দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেনের করা আবেদনে আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ নো অর্ডার বলে আদেশ দেন।
এতে সংবিধান অনুসারে ফৌজদারি অপরাধে দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে এবং রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন থাকলেও দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ কথা জানান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ৩০ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির সাজা কমানোর আবেদন খারিজ করে দিয়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।