ঢাকা:বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের মামলায় দণ্ড স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার রায়ের পর তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ বিশ্লেষণ করে মাহবুবে আলম বলেন, ‘যারা আবেদন করেছিলেন তারা সবাই দণ্ড প্রাপ্ত এবং দণ্ড থেকে তারা মুক্তি লাভ করেনি এবং তাদের ৫ বছর সময়ও অতিবাহিত হয়নি। এমন অবস্থায় যদি তাদের দণ্ড স্থগিত করে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয় তা হবে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
এ কারণেই আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনও সুযোগ থাকলো না।’ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই, এটি সাংবিধানিক বিধিবিধান। এখানে দুটি শর্তের একটি হলো- কেউ যদি দণ্ডিত হন তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আর মুক্তি লাভের পর ৫ বছরের আগে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
কাজেই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এই দুটি প্রতিবন্ধকতাই রয়েছে। এখন কোন আদালত রায় দিয়ে এই সাংবিধানিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করতে পারে না। কেননা আমাদের আপিল বিভাগ কিংবা হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধান দ্বারা তৈরি।
সংবিধানের মাধ্যমে ওই আদালতকে চলতে হয়। কাজেই কোন আদালত সাংবিধানিক বিধি বিধানকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।’ আপিল বিভাগ দণ্ড স্থগিত করতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এটি আইনগত বিষয়। আপিল বিভাগ কী করবে সেটি আমি বলতে পারি না। আমার বক্তব্য হলো সংবিধান ওপরে।’ সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, সাবেক মন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও বর্তমান মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার আপিল বহাল থাকাবস্থায় নির্বাচন করেছিলেন সেটি কি বেআইনি ছিল কিনা- এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এরশাদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। আর অন্য দুজনের মামলায় একই ধরনের সাবমিশন রাখা হয়েছিল কিনা তা আমি বলতে পারব না। আর সেটি বেআইনি ছিল কিনা সেই ব্যাখ্যাও এখন আমি দিতে পারব না। আদালতে যদি এই প্রসঙ্গ আসে তখন আমি আমার বক্তব্য পেশ করব।’