নোয়াখালী: আজ দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন ওবায়দুল কাদের । ছবি: প্রথম আলোআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভাঙা হাট জমেনি, জমবেও না। শুধু কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট ও নোয়াখালীতে নয়; সারা দেশেই নৌকার জোয়ার বইছে। দলছুট ও জনবিচ্ছিন্ন নেতারা যতই বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অপতৎপরতা চালাক, কোনো লাভ হবে না। তারা তাদের ভাঙা হাট আর জমাতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার বেলা একটায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নিজের মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের কাছে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের এ সময় নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ–সম্পর্কিত ঐক্যজোট ও বিএনপির দাবির বিষয়ে বলেন, এখন এসব অবান্তর দাবি নিয়ে কথা বলার সময় নয়। ঐক্যজোট ও বিএনপির এ দাবির অর্থ হলো তারা নির্বাচন চায় না। তারা জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
ওবায়দুল কাদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি গতকাল দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শো-ডাউন করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু আমি তা করিনি। আমি আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে এখানে এসেছি। সরকারি কোনো কিছুই ব্যবহার করিনি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের । ছবি: প্রথম আলোরিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের । ছবি: প্রথম আলোওবায়দুল কাদের বলেন, ইনশাআল্লাহ ডিসেম্বরে নৌকা ভাসতে ভাসতে বন্দরে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, বিএনপির মনোনয়ন প্রদান অনুষ্ঠানে তাদের দলীয় মহাসচিবের কান্নাই প্রমাণ করে তারা জনবিচ্ছিন্ন। তাদের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়।
ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত প্রমুখ।