ঢাকা: নির্বাচন কমিশননির্বাচন কমিশনআয়োজন ছিল ঢাকঢোল পেটানো। বাস্তবে তার কিছুই রইল না। আজ শনিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, মাত্র ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হবে।
কয়টি আসনে কিংবা কতটি আসনের কতটি সেন্টারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিকেলে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে চার কমিশনার, কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও ইভিএম–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, সারা দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকার ছয়টি সংসদীয় আসনের সব কটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। কোন ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে, সেটি ২৮ নভেম্বর গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে দৈবচয়ন–পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে। ৬টি আসনে প্রায় ১৫০টি করে ৯০০ টির মতো কেন্দ্রে হতে পারে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ইভিএম পরিচালনার জন্য রোববার থেকে সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁদের সঙ্গে ইসির আইসিটি শাখার কর্মকর্তারা বিভাগীয় পর্যায়ের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ইভিএম যৌথভাবে সেনাবাহিনী এবং ইসি কর্মকর্তারা পরিচালনা করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, একটি ইভিএম মেশিনে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়ে ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার ওপেন করতে পারবেন। কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ যদি কাজ না করে, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাঁর নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যালট পেপারটি চালু করবেন।
ইভিএমের বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর আপত্তি সম্পর্কে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘মানুষ আগের চেয়ে অনেক শিক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়া আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগে ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি। তাই ইভিএম ব্যবহারের কোনো সমস্যা হবে না। সব দিক বিবেচনা করে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এ বছর ইসি ইভিএম কেনার জন্য ৩ হাজার ৮২১ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে। ইতিমধ্যে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে কয়েক হাজার ইভিএম ইসিতে সরবরাহ করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ইভিএম পরিচালনার জন্য ৬০০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। তাঁদের মধ্যে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামরিক কর্মকর্তারাও আছেন।