এবার প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বসেছে বিএনপি। কারাগারে যাওয়ার আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা জরিপ ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পৃথক জরিপকে সামনে রেখেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
এ নিয়ে স্থায়ী কমিটির দফায় দফায় বৈঠক চলছে। সঙ্গে স্কাইপিতে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। যুক্তি-পাল্টা যুক্তি দিয়ে অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রার্থীকেই চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে কারও ব্যক্তিগত কোনো সুপারিশ খাটছে না বলে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর জন্য ৫০ আসন রেখে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী রাখার পাশেই ক্রস চিহ্ন দিয়ে বলা হচ্ছে, জোট ও ফ্রন্টকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে বিকাল থেকে শুরু হওয়া স্থায়ী কমিটির বৈঠক চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বৈঠক মুলতবি রাখা হয়। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে আবারও বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। বৈঠকে স্কাইপিতে যুক্ত হন তারেক রহমান। প্রার্থীর যোগ্যতা সম্পর্কে স্থায়ী কমিটি নিজস্ব মতামত তুলে ধরে। এ সময় বিগত সময়ের করা জরিপগুলোও সামনে আনা হয়। অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রার্থীকেই চূড়ান্ত করা হচ্ছে। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কোথাও কোথাও বিকল্প প্রার্থীও রাখা হচ্ছে। মামলা, ঋণখেলাপিসহ নানা কারণে প্রথম প্রার্থী নির্বাচন করতে না পারলে দ্বিতীয়জনকেই বেছে নেওয়া হবে। তবে প্রথম প্রার্থীকেই দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। বিকল্প প্রার্থী প্রয়োজনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একটি সূত্র জানায়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে। এবার যে প্রক্রিয়ায় প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে, তা এককথায় অসাধারণ। কারও ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া পাওয়া থাকছে না। জিয়া পরিবারের আত্মীয় বলেও কেউ পার পাচ্ছেন না। জানা যায়, দিনাজপুরে জিয়া পরিবারের এক আত্মীয়ের পক্ষে সুপারিশ করেন স্থায়ী কমিটির পাঁচ-ছয়জন সদস্য। তারেক রহমান স্কাইপিতে বলেন, তার চেয়েও কোনো যোগ্য প্রার্থী আছেন কি-না। এ সময় ওই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হলে তারেক রহমান তাকেই সায় দেন। এ ছাড়া বগুড়া জেলার দায়িত্ব তারেক রহমানের হাতে ছেড়ে দেয় বিএনপির স্থায়ী কমিটি। তারেক রহমান বলেন, সারা দেশে আপনারা প্রার্থী নির্ধারণ করছেন, বগুড়াও আপনারাই করবেন। পরে বগুড়ার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে উপ?স্থিত ছি?লেন— দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।