ঢাকা: সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন নিহত হয়েছেন। কক্সবাজারে দুইজন, সিলেটের মোগলাবাজার, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি ও খুলনায় একজন করে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হয় বলে র্যাবের দাবি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি বিশেষ দল রাত সাড়ে ৩ টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর বাইপাস এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবের দিকে গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে সেখানে ইয়াবা ব্যবসায়ী শহীদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জে নিহত আবুল হোসেন শেখ (৪৯) টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কু-েরবাজার গ্রামের নাজিম উদ্দিন শেখের ছেলে।
তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের র্যাব-১১ এর উপ অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাল জানান, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দেউলবাড়ি গ্রামে মাদক কারবারীদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল দল সেখানে যায়। রাত ১টার দিকে তারা আমাদের টহল টিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আমরাও পাল্টা গুলি ছুড়ি। পরে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। গুলিবিদ্ধ আবুলকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি এবং ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব।
একইভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৯ মামলার আসামি ডাকাত নজির আহম্মদ প্রকাশ নজির (৪০) ও আবদুল আলীম (৩৮) নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়া খালীর ট্যুরিস্টজোন সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় জিরোপয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে থেকে ৪টি দেশীয় অস্ত্র, ২১ রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গ্রেপ্তরকৃত ডাকাত নজির আহম্মদ প্রকাশের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী বেড়িবাঁধ এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নজিরের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে নজির ডাকাতের সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
খুলনার একাধিক মামলার আসামি মিরাজুল ইসলাম ওরফে মারুফ হোসেন ওরফে গরু মারুফকে (৪৩) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুরস্থ কার্তিককূল বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ১টি পাইপগান, ১ রাউন্ড গুলি ও ৫৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
নিহত মারুফ দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের আবদুল গফফার শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন। দৌলতপুর থানার ওসি কাজী মোস্তাক আহমেদ বলেন, কে বা কারা গরু মারুফকে গুলি করে হত্যা করেছে।