রাজধানীতে আর কোনো রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীর জানাজা বা দাফন হতে দেওয়া হবে না। রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে অভিনেত্রী শমী কায়সার ও শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী এ সময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের লাশের দাফন হয়নি। তাদের লাশ বাঘারে পড়ে ছিল, তাদের গলিত লাশ শকুন-শিয়ালে খেয়েছে। এই বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছিল তাদের লাশও জানাজা ও দাফন করতে দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন পূর্ব অঙ্গীকার অনুযায়ী বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে সকল যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের আত্মাকে শান্তি ও জাতিকে অভিশাপমুক্ত করা হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছিল তাদের এ জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে অভিনেত্রী শমী কায়সার বলেন, ‘আমার বাবা শুধু আমার একার নন, সবার।’
তিনি বলেন, এই দিনটা ছিল জাতীয় জীবনের জন্য এক অন্ধকার অধ্যায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি কোনো প্রতিহিংসামূলক কাজ নয়, এ দাবি ন্যায্যতার, সততার ও সত্যের।
শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত-শিবিরের বিচার দাবি করে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ নিষিদ্ধের দাবি জানান।
কুখ্যাত রাজাকার নরঘাতক শার্ষিণার পীর আবু জাফর সালেহকে প্রদত্ত স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের দাবিতে বধ্যভূমি চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম-৭১।