যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৪

Slider সারাবিশ্ব


ঢাকা:যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালে হামলাকারীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য, হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মী এবং বন্দুকধারী নিজে। বন্দুকধারী পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের সময়, নাকি নিজের গুলিতে নিহত হয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বেলা তিনটার দিকে শিকাগোর মার্সি হাসপাতালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, মেয়র রহম ইমানুয়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত দুই নারীর একজন চিকিৎসক ও একজন ওষুধ তৈরিসংক্রান্ত কাজের সহকারী ছিলেন।

বন্দুকধারীর গুলিতে হাসপাতালে চিকিৎসক, রোগীসহ লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্দুকধারী হাসপাতালের পার্কিংয়ের জায়গায় গুলি ছুড়তে শুরু করেন। তাঁর গুলিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও হাসপাতালের দুই নারী কর্মী নিহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকধারীর গুলিবিনিময় হয়।

পুলিশের মুখপাত্র ও শিকাগো অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ তাদের টুইটারে জানিয়েছে, গুলিতে স্যামুয়েল জিমেনেজ নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বন্দুকধারী নিজেও মারা গেছেন। গুলিতে দুজন আহত হওয়ার পর চিকিৎসা কর্মকর্তা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

বন্দুকধারী কেন এই হামলা চালালেন, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। পুলিশের ধারণা, প্রেমের সম্পর্ক ছিল—এমন এক নারীকে লক্ষ্য করে বন্দুকধারী এই হামলা চালান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একটি সাইকেলের দোকানের ব্যবস্থাপক সু জিমেনেজ বলেন, থেমে থেমে তিনি একাধিকবার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনতে পান। একবার তিনি একসঙ্গে পাঁচটি গুলির শব্দ পেয়েছেন। পুলিশ আসার পর গুলির শব্দ থেমে যায়।

মাত্র কিছুদিন আগে মার্কিন চিকিৎসকেরা বন্দুক হামলার বিরুদ্ধে ‘হ্যাশট্যাগ দিস ইজ আওয়ার লেন’ (#ThisIsOurLane) নামে একটি অনলাইন প্রচারাভিযান চালিয়েছিলেন। এর আগে অস্ত্রের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ) টুইটারে অস্ত্রবিরোধী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে লিখেছিল, ওই চিকিৎসকদের উচিত ‘তাঁদের লেনে অবস্থান করা’। এর প্রতিক্রিয়ায় চিকিৎসকদের ওই প্রচারাভিযানে কয়েকজন চিকিৎসক বন্দুক হামলার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার সময়ের রক্তাক্ত ছবি প্রকাশের মাধ্যমে তাঁদের আবেগ প্রকাশ করেছিলেন। এর মধ্যে নতুন করে বন্দুক হামলার এই ঘটনা ঘটল।

গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের গুলিতে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ মারা গেছে। গুলিতে আহত হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে দায়িত্ব পালনের সময় ২৫০ জন পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *