বিকল্পধারার সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যুক্ত করলে লাভ না ক্ষতি এ প্রশ্ন জোটের অন্দর মহলে তীব্র হয়ে উঠেছে।
বিকল্পধারা প্রথমে ১০টি আসন চাইলেও সর্বশেষ ৫টি আসন চেয়েছে। আওয়ামী লীগ দুটি আসন দিতে চাইলেও তারা যে দুটি আসন চাইছেন সেখানে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করেন নোয়াখালী-৪ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরী এবারের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করবেন।
কিন্তু বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এ আসনটি চাইছেন। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তার জন্য কাজ তো করবেনই না বরং একরামুল করীম চৌধুরীকে মনোনয়ন বঞ্চিত করলে জেলার রাজনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এতে আসনটি মহাজোটের হারানোর সম্ভাবনা বেশি।
ঠিক একই অবস্থা মাহি বি. চৌধুরীর চাওয়া মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের ক্ষেত্রেও। এ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বি. চৌধুরী বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এ পরাজয়ের পর তিনি বা তার পুত্র মাহী বি. চৌধুরী কোনো গণসংযোগ করেননি।
কিন্তু সেই সময় বিজয়ী আওয়ামী লীগের সুকার রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ রয়েছেন। নির্বাচনে তিনি অংশ নিচ্ছেন না। এখানে দীর্ঘদিন থেকে দিন-রাত ব্যাপক গণসংযোগ করছেন এককালের ছাত্রলীগের তুখোড় সংগঠক গোলাম সারওয়ার কবীর।
তিনি এখন এ আসনে শক্তিশালী প্রার্থীই নন, দলীয় নেতা-কর্মীরা মনে করেন, নৌকা প্রতীক তার হাতে তুলে দিলে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন। কিন্তু মাহী বি. চৌধুরীকে প্রার্থী করা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের সহযোগিতা করবেন না। এক্ষেত্রে নির্বাচনে ভোট বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে।
আওয়ামী জোটের অন্দর মহলে যাদের শক্তিশালী নিজস্ব আসন নেই তাদের জোটে এনে লাভ কি? আওয়ামী লীগ আসন বণ্টনের রফাদফায় এ দুটি আসন ছাড়তে চাইছে না। এ নিয়ে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে তুমুল দরকষাকষি চলছে।