উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ একাধিক গণমাধ্যমের মুখরোচক সংবাদ হলো জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার মনোনয়ন ফরম জমার খবর। অনেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে মাশরাফির পদচারণাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। আবার কতিপয় জনসাধারণ ঘৃণার চোখে দেখছেন নড়াইলের এই সূর্য সন্তান মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
মাশরাফি মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর নড়াইলবাসীর প্রতিক্রিয়া জানতে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায় ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা ঘুরে বেড়িয়েছেন নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা গেছে, এ জেলার অধিকাংশ মানুষই মাশরাফিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে একটি স্বার্থান্বেসী মহল মাশরাফির এই উদ্যোগকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে। তারা মনে করছে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে মাশরাফি নির্বাচন করলে সে আওয়ামীলীগের হয়েই কাজ করবে, জনগণের চিন্তা করার সময় পাবে না। কিন্তু অধিকাংশ লোকের ধারণা, মাশরাফি অনেক উদার মনের মানুষ। তার উদারতা পরিলক্ষিত হয় নড়াইল সদর হাসপাতালের জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগাড় করে দেওয়া। এছাড়াও মাশরাফির কাছে সাহায্য-সহযোগিতার জন্য গিয়ে কেউ কোনোদিন খালি হাতে ফেরেনি। এছাড়া ভরামাঠে তাঁর এক অন্ধ ভক্তকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বুকে জড়িয়ে ধরার মতো প্রশস্ত বক্ষও সৃষ্টিকর্তা তাঁকে দিয়েছে। নড়াইল জেলা সর্বদা অবহেলিত ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মাশরাফির মতো একজন যোগ্য নেতাই পারে নড়াইলের পরিবর্তনে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে। এ কারণে মাশরাফিকে দল, মত নির্বিশেষে ভোট দিয়ে নড়াইলবাসীর সেবা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নড়াইলের অধিকাংশ জনগণ। ### ছবি সংযুক্ত
নড়াইলের এলজিইডি’র তিন মাসের কাজ ১৯ মাসে শেষ হয়নি
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: বুধবার (১৪ নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইলের-লাহুড়িয়া সড়কের শিয়রবর থেকে মাকড়াইল পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার অংশে এ অবস্থা। থেকে উত্তর এলাকায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। এ সড়ক ব্যবহার করে পাশ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা ও মোহাম্মদপুর উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়। সড়কটি দিয়ে এ এলাকার লাহুড়িয়া, শালনগর, নোয়াগ্রাম, কাশিপুর ও জয়পুর ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, নড়াইলের মাকড়াইল কেকেএস ইনস্টিটিউশন, রঘুনাথপুর আলিম মাদ্রাসা, শালনগর মর্ডান একাডেমিসহ আট শিক্ষাপ্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা এ সড়ক ব্যবহার করে।
সড়কের পাশে লাহুড়িয়া, মাকড়াইল, বাতাসি, মন্ডলবাগ, শিয়রবর ও মানিকগঞ্জ এই এলাকার বড় বাজার। বাজারে পণ্য পরিবহনে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে। চলাচল করে যাত্রীবাহি বাস ও অসংখ্য অটোরিকশা।
পিচ ঢালাই সড়কটি ছিল ভাঙাচোরা। সেটি কার্পেটিং করতে খুড়ে খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে গত ১৯ মাস ধরে। অথচ কার্যাদেশ ছিল তিন মাসে কাজ শেষ করার।
সড়কের পাশের বাসিন্দা গৃহবধূ চায়না বেগম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, গাড়ি চরাচলে বা সামান্য বাতাসেই লাল ধুলায় ময়ময় হয়ে যায় বাড়িঘর। ঘরের কাপড়েও ধুলার স্তুপ। খাবারের সঙ্গে ধুলা যায় পেটে। নিশ্বাসের সঙ্গে যাচ্ছে ফুসফুসে। কিন্তু এ বলে কারোর নড়চড় নেই।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ সড়কটি সংস্কার করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কাজ সমাপ্তির মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের ২৯ জুন। সড়কটির শিয়রবর থেকে মাকড়াইল পর্যন্ত তিন দশমিক ৬৩ কিলোমিটার অংশ মেরামত করতে এক কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। ঠিকাদার ছিলেন ফরিদপুরের এ কে এম আকরামুজ্জামান।
স্থানীয় শালনগর ইউপি সদস্য মো. ইয়ার আলী জানান, সড়কের এ দুর্দশার কারণে পার্শ্ববর্তী মানুষ ধুলায় যেমন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, তেমনি যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ মোশারেফ আলী বলেন, ওই ঠিকাদার কাজ ফেলে রাখায় ছয় মাস আগে তাঁর কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। এখন বাকি কাজের পরিমাপ করা হচ্ছে। পরিমাপ শেষে নতুন করে টেন্ডার হবে।# ছবি সংযুক্ত
নড়াইলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার-৩০
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: বুধবার (১৪ নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইলে বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টার পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলার চারটি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করা হয়। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, জেলা পুলিশের কন্ট্রোলরুম জানায়, নড়াইল সদর থানায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাধনসহ বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগে ৬ জন, লোহাগড়া থানায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিন্টু মোল্যাসহ ৯ জন, কালিয়া থানায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি শরিফুল ইসলাম সহ ৭ জন এবং নড়াগাতী থানা পুলিশ ৮জনকে আটক করে। নড়াইলের এসপি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম) নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আটকদের নির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলীর জীবনযুদ্ধ ভ্যানের প্যাডেল!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: বুধবার (১৪ নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইলে দেশে এক শতক জাগাজমি নাই। শশুরির(শ্বশুর) জাগায় ঘর বাইধে(বেঁধে) বউ ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকি। ৬৭বছর বয়সে ভ্যানের প্যাডেল মাইরে পেটের ভাত যোগাড় করতে হচ্ছে। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, যুদ্ধের সময় যারা দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছে। যে রাজাকাররা দিনে দুপুরে জবাই করেছে। মা-বোনের ইজ্জত নেছে (নিয়েছে)। তারা আজকে গাঁয়(গায়ে) আতর লাগায়ে ভ্যানে উঠে বলে সাহেব আলী জোরে চালা। কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন নড়াইলের নলদী ইউপির চরবালিদিয়া গ্রামের হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি সাহেব আলী। বর্তমানে যিনি নড়াইল পৌর এলাকায় বরাশুলা গ্রামে শ্বশুর বাড়ি ঘর বেধে বসবাস করছেন। তিনি জানান, ৪৭ বছর ধরে ভ্যান চালাচ্ছি। এ কি একজন মুক্তিযুদ্ধার পুরস্কার? এ জন্য কি দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম? মুক্তিযুদ্ধা হয়েছি বলে সরকার থেকে যে ভাতা দেয় এতে কি সংসার চলে? আমার ওষুধ কিনতে তো সে টাকা শেষ হয়ে যায়। স্বল্প শিক্ষিত কিশোর সাহেব আলী রাজনীতি জানতেন না। শুধু জানতেন নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। দেশের অর্থ অন্য দেশে না গেলে ভাল ভাবে থাকতে পারব। অভাব দুর হবে। রক্ত ঝরলো, যুদ্ধ শেষ হল, অভাব তবু শেষ হলো না। ৪৭ বছরের প্রাপ্তি বলতে রয়েছে সীমাহীন অভাব আর সামাজিক অবজ্ঞা। চারটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে এই মুক্তিযোদ্ধার। অর্থাভাবে তিনটি মেয়েকে লেখাপড়া না শিখিয়েই বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। ক্লান্ত সাহেব আলী বর্তমানে সংসার চালিয়ে বেকার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বড় চিন্তায় আছেন। মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলীর আশা তার মৃত্যুর আগে যেন সকল যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারদের বিচার দেখে যেতে পারেন। স্থানীয়দের দাবি সাহেব আলীর মত হত-দ্ররিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা যেন একটু ভালভাবে জীবন যাপন করতে পারেন। সাহের আলীর, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, ছেলে মেয়েদের সরকারী চাকুরীর জন্য অনেক নেতার বাড়িতে ধরনা দিলেও কোন কাজে আসেনি। সরকার থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। অনেক ঘুরাঘুরি করেও তিনি বাড়ি পাননি। সরকারকে বাড়ি নির্মান করে দেয়ার দাবি জানান তিনি। ডিসি আনজুমান আরা বেগম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলীর বাড়ি নির্মাণের জন্য আবেদন করলে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে।