বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া ‘পাতনো’ উল্লেখ করে ভোটে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে বিষয়টি জানিয়ে দেন।
সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন।
সূত্রটি জানায়, রুহুল কবির রিজভী ফোন দিয়ে কবীর হোসেনের কাছে জানতে চান কোন আসনের জন্য তার নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন। এর জবাবে কবীর হোসেন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া আমরা নির্বাচনে যেতে পারি না। বিএনপির এ নির্বাচনে যাওয়া পাতানো। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া পাকাপোক্ত করতে বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পাতানো নির্বাচনে গেছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে। তখন নির্বাচন করবো। ’
কবীর হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি বলে দিয়েছি, এই নির্বাচন পাতানো।
আমি এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই না। ’
সূত্র মতে, ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনবার এমপি নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন। এর মধ্যে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে রাজশাহী-২ (সদর) এবং ২০০১ সালে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ৯১ সালে রাজশাহী সদর আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তাকে ভূমি প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসন থেকে নির্বাচন করার আগ্রহের কথা চেয়ারপারসনকে জানিয়েছিলেন বিএনপির এই প্রবীণ নেতা।