জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পরীক্ষার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়েছে।
রোববার সকালে মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকায় হ্যাপিদের বাসায় গেলে তার বাবা ইউসুফ আলী রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, খুব সকালে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের এসআই ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ হ্যাপিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মাসুদ পারভেজ জানান, হ্যাপিকে পুলিশি পাহারায় তেজগাঁওয়ে অবস্থিত পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হ্যাপিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।
পাশাপাশি হ্যাপির ডিএনএ পরীক্ষাও করা হবে। সে ক্ষেত্রে রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে বলে জানান মাসুদ পারভেজ।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, সাধারণত একজন ধর্ষিতাকে ধর্ষণের পরপরই আনলে একরকম পরীক্ষা হয়। আর ধর্ষণের পর অনেক দিন হয়ে গেলে অন্য রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। হ্যাপির ক্ষেত্রে ধর্ষণের পর অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে তার রক্ত ও লালা পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া যোনিপথও পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গতকাল রাতে রাইজিংবিডিকে মোবাইলে দেওয়া এক আলাপচারিতায় রুবেলের সঙ্গে তার প্রেমের বিস্তারিত তুলে ধরেন হ্যাপি, যা রাইজিংবিডিতে ‘রুবেল সম্পর্কে যা বললেন হ্যাপি’ নামে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে।
– রাইজিংবিডি