গাজীপুর: সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ ইকবাল সিদ্দিকী। সকল মহলে তার রয়েছে একটি বিশেষ জনপ্রিয়তা। এর কারণ হল তিনি স্পষ্টভাষী একজন মানুষ। সাদা মনের মানুষ বলে সকলেই তাকে ভাল মানুষ হিসেবে জানেন। ইকবাল সিদ্দিকী রাজনৈতিকভাবে এখন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি গাজীপুর-৩(শ্রীপুর) আসন থেকে দলীয় প্রতীক গামছা নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।
ঐক্য ফ্রন্টের রাজনীতিতে যুক্ত এমন অনেকে বলছেন, শ্রীপুরে বিএনপির তেমন কোন নেতা এখনো সামনে আসেনি। এই আসনে বিএনপি কাকে মনোনয়ন দিবে তা নিয়ে ধ্রম্রজাল রয়েছে। তাই ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই আসনটি চাওয়া হলে ঐক্য ফ্রন্ট ভেবে দেখতে পারে।
শ্রীপুর বিএনপির অনেক কর্মী বলছেন, এই আসনে বিএনপির প্রার্থী সংকট রয়েছে। বর্তমানে কমপক্ষে ৫জন বিএনপি নেতা দলীয় মনোনয়ন কিনবেন। এদের মধ্য থেকে একজনকে মনোনয়ন দিতে হবে এবং তিনি হবেন নতুন প্রার্থী। আর বাকীরা হবেন বিরোধী।
২০০৮ সালে এই আসনে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান। বর্তমানে অধ্যাপক এম এ মান্নান গাজীপুর-২ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করছেন বলে প্রচারণা আছে। ওই নির্বাচনে গামছা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন ইকবাল সিদ্দিকী।
গাজীপুর-১- শ্রীপুর আসনের অনেক মানুষ আছেন যারা রাজনীতি সচেতন, তারা বলছেন, নতুন প্রার্থী দিলে যেহেতু দলীয় কোন্দল বাড়বে সেহেতু বিএনপি, ফ্রন্টের শরীক দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিলে আসনটিতে প্রতিদ্বন্ধিতা হবে নতুন আমেজে।
আওয়ামীলীগ দলীয় একাধিক সমর্থকেরা বলছেন, শ্রীপুরে গামছাকে বিএনপি সমর্থন করলে ভালই হয়। কারণ বিএনপির আভ্যন্তরীন কোন্দল তখন আর হালে পানি পাবে না।
সাধারণ মানুষ বলছেন, শ্রীপুরে বিএনপির নতুন প্রার্থী থেকে ভাল হবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকীকে সমর্থন করলে। কারণ তখন ফ্রন্টের প্রার্থী হবে একজন সাদা মনের মানুষ। আর এই মুহূর্তে বিএনপির ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে সাদা মনের মানুষ দরকার, যা বিএনপিতে আপাতত নেই।