হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, শাপলা চত্বরে গিয়েছিলাম বিশ্ব নবী (সা.) ইজ্জত সম্মান রক্ষা করার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি নারায়ণগঞ্জের ছয় লাশসহ আমার সামনে আরও আটটি লাশ পড়েছিল।
ওইদিন শতাধিক নিহত ও আহত হয়েছে অগণিত। সেদিন আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। আমার টেলিফোনে বারবার ফোন আসছিল আপনি চলে যান। শনিবার রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ফতুল্লার মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ ও সংবর্ধনাসহ ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওইসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেফাক’র জেলা শাখার সভাপতি আল্লামা আবদুল কাদের। কোরআনের বয়ান উদ্ধৃত করে বাবু নগরী আরও বলেন, কওমি গোষ্ঠী ও মুসলমানদের পিতা ইব্রাহীম (আ.)। তাহলে কওমি জননীও সে রকম হতে হবে। দিলদার ও পরহেজগার হতে হবে। তিনি বলেন, কোনো কোনো মন্ত্রী সচিবরা বলছে, বর্তমান সরকার ওলামায়ে দেওবন্দিদের মূল ধারায় নিয়ে আসছে, তাহলে বোঝা যাচ্ছে এতদিন ওলামা কেরামদের কোনো মূলধারা ছিল না।
সরকার আমাদের সনদের স্বীকৃতি দিয়ে মূলধারায় আনে নাই বরং সরকারই মূলধারায় চলে এসেছে।
এতদিন স্বীকৃতি না দিয়ে সরকার মূলধারায় ছিল না। আমরা আগের থেকে মূলধারায় আছি। সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত করে নাই, সরকার নিজেই সম্মানিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওইদিন নাকি শাপলা চত্বরে কাউকে হত্যা করা হয়নি, যারা এ রকম বলে তারা মিথ্যা বলছে।