আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের কোন কোন দলকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিতে হবে, তা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তবে জোটের কয়টি দলকে জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে, এ বিষয়ে মুখ খোলেননি দলের প্রতিনিধিরা।
নির্বাচন কমিশন সচিবকে জোটবদ্ধ নির্বাচনের তথ্য সংক্রান্ত চিঠি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির সদস্য সচিব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার তিন দিনের জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সংক্রান্ত তথ্য কমিশনে জমা দিতে আমরা বাধ্য। আমাদের সাথে যারা যারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে, তাদের একটি তালিকা আমরা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি, রাজনৈতিক দল এবং ইসি— দুই পক্ষের মধ্যেই এটা সীমিত আছে। নির্বাচন কমিশনের যে নির্ধারিত প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়ায় আপনারা জেনে নেবেন।
নওফেল বলেন, দলগুলোর নাম প্রকাশ না করা আমাদের রাজনৈতিক কৌশলের একটি অংশ। কাদের নিয়ে আমরা নির্বাচন করব, তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছি।
জোটে দলের সংখ্যা বাড়ল না কমল— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, এই মুহূর্তে মন্তব্য করাটা সমীচীন হবে না।
জাতীয় পার্টি জোটে আছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এরই মধ্যে বলেছি, যেহেতু এটি একটি কনফিডেনশিয়াল (গোপনীয়) তথ্য এবং আইন অনুযায়ী সেটি আমরা জমা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন সেটা গ্রহণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন। যেহেতু আইনের বিষয় আছে, সেহেতু এই মুহূর্তে আমরা কোনো মন্তব্য করে আইনের ব্যত্যয় করব না। কেননা, আমাদের কোনো অথরিটি নেই এই তথ্য প্রকাশ করার।
আইন অনুযায়ী, আবেদন করে এই তথ্য সংগ্রহ করার কথাও সাংবাদিকদের বলেন তিনি।
এর আগে, গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এরপরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করা হয়। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে।