কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ঐচারচর গ্রামে মিলেছে আজব এক তালগাছের সন্ধান। তালগাছটি একটি কবরস্থানের মাঝখানে অবস্থিত। এই তালগাছটি ঘিরে এক সপ্তাহ ধরে তোলপাড় শুরু হয়েছে ওই উপজেলায়। বিশেষ করে শনি ও মঙ্গলবার সেখানে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এলাকাবাসী বলছে, পর পর তিন দিন এই তালগাছটির চারদিকে একবার করে ঘুরে যার যা ইচ্ছা অনুযায়ী রোগমুক্তি কামনা করলে তাই হচ্ছে! সে জন্য শিশু থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ সবাই এই তালগাছটির চারদিকে ঘুরছেন। কেউ কেউ গাছের গোড়া থেকে মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, এই মাটি শরীরে লাগালেও বিভিন্ন রোগমুক্তি হয়।
সে কারণে এই গ্রামে আসার জন্য পাশের গ্রাম আব্দুল্লাহপুরের নদীতে তিনটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক থেকে দেড় লাখ মানুষ এখানে আসছেন। শুধু এ জেলাই নয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেকে আসছেন বলে জানা গেছে।
পাশের হোমনা উপজেলার খন্দকারচর গ্রাম থেকে আসা শফিউদ্দিন বলেন, ‘আমার গেজ হয়েছিল, এখানে এসে তিন দিন তালগাছটির চারদিকে ঘোরার পর গেজটি সেরে যায়। তাই যত টাকা লাগে এই জায়গাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করব আমি।’
অনেকে আবার নিজের ইচ্ছায় রোগমুক্তির আশায় সেখানে খিচুড়ি রান্না করে মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন। অনেকে তালগাছটিতে চুমু খাচ্ছেন, অনেকে আবার জড়িয়ে ধরে থাকছেন। অনেক চেষ্টা করেও তাদের সরানো যাচ্ছে না। গাছের গোড়ায় শুয়ে পড়ছেন তারা।
যে যেভাবে পারছেন ছুটে আসছে গাছটির কাছে। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে প্রচণ্ড ভিড়। ভিড়ের কারণে অনেকে তালগাছটির কাছে না যেতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষের বিবেক বলে কিছু নেই। তালগাছটি ঘুরে চলে আসলে তো আমরাও যেতে পারি। একজনের জন্য আরেকজন বঞ্চিত হচ্ছেন।’
তাই এলাকাবাসী মিলে বাঁশের বেড়া দিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে মানুষকে গাছের কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন।