নড়াইল সংবাদ

Slider খুলনা

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (১০ নভেম্বর) ২৭৪: নডাইলের ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফুটবল খেলায় পুরষ্কার বিতরণ করেন আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, নডাইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম) উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের জেলা চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ শরফুদ্দিনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ স্থানীয গণ্যমান্য ব্যক্তি এলাকার খেলা প্রেমিক দর্শক শ্রোতা

নড়াইলে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (১০ নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর নিকট একটি গোপন সংবাদ আসে। ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসআই রজত কুমারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন নির্দেশনা পেয়ে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই জামারত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে টের পেয়ে মোটরসাইকেলটি সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম না হলেও চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে। গভীর রাতে নড়াইলের পার্শ্ববতী জেলা মাগুরার কুচেমোড়া এলাকা থেকে এ চোরাই একটি টিভিএস মেট্রো প্লাস মোটর সাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা। ভবিষ্যতেও পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান। ### ছবি সংযুক্

নড়াইল-১ আসন মহাজোটে একাধিক নতুন তৎপরতা!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (১০ নভেম্বর) ২৭৪: জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনে ভোটার দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৯ হাজার ১১৩ এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৯৩৮ জন। কালিয়া পৌরসভা, ১৪টি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার কলোড়া, বিছালী, সিঙ্গাশোলপুর, সেখহাটি ও ভদ্রবিলা ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-১ আসন গঠিত। বিগত নির্বাচনগুলোর ফলাফলে দেখা গেছে, এ আসনে পাঁচবার আওয়ামী লীগ, দু’বার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এবং একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) বিজয়ী হন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল হক মুক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে মহাজোটের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। এ দিকে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছেন ভোটারসহ নড়াইল-১ আসনের সাধারণ মানুষ। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নতুন মুখের তৎপরতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। এর মধ্যে আছেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী সরোয়ার হোসেন এবং গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন। এ দিকে, এবারোদলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হয়ে চান তিনি। এ ছাড়া, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, অবসরপ্রাপ্ত লে. কমান্ডার ওমর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোল্যা এমদাদুল হক ও শাহীদুল ইসলাম শাহী, কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বি এম ইকরামুল হক টুকু, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: আব্দুল মান্নান, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজুল হক, প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমানসহ আরো কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ দিকে, মহাজোটের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেনÑ জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ, জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মোল্যা, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, জাসদের একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও জাসদের (ইনু) আরেক অংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বি এম আখতার হোসেন রাঙ্গা। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন অন্তত ছয় প্রার্থী। এরা হলেনÑ জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা: শফিকুল হায়দার পারভেজ, খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তজা, নড়াইল-১ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি মরহুম ধীরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে সুকেশ সাহা আনন্দ, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সৈয়দ ফারুক আশীক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বি এম সুলতান মাহমুদ। তবে শরিকদলে কোনো প্রার্থীর তৎপরতা দেখা যায়নি। এ ছাড়া, ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ খবির উদ্দীন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারপত্র টানিয়েছেন শিকদার শাহাদৎ হোসেন দুলু নামে এক প্রার্থী। আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল হক মুক্তি বলেন, দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। দুইবারের এমপি হিসেবে এলাকায় একাধিক সড়ক, সেতু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতায় ভোটারসহ সাধারণ মানুষ আমার সাথে আছেন। এ ছাড়াও দুইবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি। কালিয়া পৌরসভা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীতকরণ ও পৌরভবন নির্মাণ, কালিয়া থানা ভবন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মধুমতি ও নবগঙ্গা নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ, কয়েকটি খাল পুনঃখনন এবং শতকরা ৯০ ভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। নড়াইল-ফুলতলা সড়ক ও কালিয়া-নড়াইল সড়ক একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাথে আমার পরিবারের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। রাজনীতির জন্য আমার বাবা ও ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি বলেন, নড়াইল-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী আমি। এ লক্ষ্যে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মনোনয়ন পেলে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী হবো বলে আশাবাদী। নড়াইল-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী কাজী সরোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, মতবিনিময়, সভা-সমাবেশসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন করেছি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। গণসংযোগকালে ভোটারসহ এলাকাবাসীর ভালো সাড়া পাচ্ছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবো, ইনশা আল্লাহ। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা, মানবসেবা, প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ নড়াইল-১ আসনের সার্বিক উন্নয়ন করব। ব্যক্তিগতভাবে উন্নয়নের পাশাপাশি ‘জনপ্রতিনিধি’ হয়েও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে অবদান রাখতে চাই। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন মানবসেবা করে যাবো। মুফতি রুহুল আমীন বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে বিজয়ী হব, ইনশা আল্লাহ। এলাকায় সব ধরনের উন্নয়ন করব। এছাড়া মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলব, শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপনাদের খাদেম হিসেবে নির্বাচিত করবেন। জনগণের খেদমত করতে পারা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়। আমার বাবা শামছুল হক ফরিদপুরী জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। নড়াইলের সাথে আমারও আত্মার সম্পর্ক। এ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় জনগণের আরো খেদমত করতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের রাজনীতি করে আসছি। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছি। আশা করছি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী বলেন, তৃণমূল মানুষের পাশে থাকার জন্যই এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দিরে সহযোগিতাসহ অসহায় মানুষের পাশে আছি। দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী আমি। জাপা নেতা অশোক কুমার ঘোষ বলেন, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করে ১৯৮০ সালে বরিশাল বিএম কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও মহাজোটের কারণে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়। আশা করি, এবার মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবো। জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নড়াইল-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে রাজনীতি করছি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাই আমাদের দাবি, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা বিজয়ী হবো। ডা: শফিকুল হায়দার পারভেজ বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হলে অবহেলিত কালিয়া তথা জেলার সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করব। সৈয়দ ফারুক আশিক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনসহ দলীয় কর্মকা-ে অবদান রেখে আসছি। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার রাজনীতিসহ জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের কল্যাণই আমার রাজনীতির আদর্শ। দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। সাহারুজ্জামান মোর্তজা বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সুকেশ সাহা আনন্দ বলেন, প্রায় ১১ বছর কালিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি থাকায় তৃণমূলপর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছাকাছি থাকার সুযোগ পেয়েছি। দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে-দু:খে পাশে থাকায় মনোনয়নের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। অ্যাডভোকেট বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, নেতাকর্মীদের সুখে-দু:খে পাশে আছি। বিনা পারিশ্রমিকে আদালতে নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনা করে আসছি। এ দিকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাÑ এ আসনে সৎ, যোগ্য, উন্নয়নকামী প্রার্থী মনোনয়ন দিলে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সবার সাথে সম্পর্ক অটুট থাকবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভোটাররা। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনে ভোটার দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৯ হাজার ১১৩ এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৯৩৮ জন। কালিয়া পৌরসভা, ১৪টি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার কলোড়া, বিছালী, সিঙ্গাশোলপুর, সেখহাটি ও ভদ্রবিলা ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-১ আসন গঠিত। বিগত নির্বাচনগুলোর ফলাফলে দেখা গেছে, এ আসনে পাঁচবার আওয়ামী লীগ, দু’বার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এবং একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) বিজয়ী হন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল হক মুক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে মহাজোটের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। এ দিকে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছেন ভোটারসহ নড়াইল-১ আসনের সাধারণ মানুষ।

নড়াইলে ফেসবুকের মাধমে ইয়াবা বিক্রি

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (৯ নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইলে ফেসবুকের মাধমে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকির হোসেন সুমন (৪২) নামে এক ইয়াবা বিক্রেতাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাত গভির রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, সুমন নড়াইল পৌরসভার কুড়িগ্রাম এলাকার ইউনুস মোল্যার ছেলে। এ সময় তার বাড়ি থেকে ২১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম ও নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এসআই মোঃ খায়রুল ইসলাম, এ এসআই সোহেল, এ এসআই দুরাত আনিচ, এ এসআই মনিরসহ ডিবি পুলিশের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। ডিবি পুলিশ জানায়, সুমন তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বিশ্বজিত নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছে ইয়াবা বিক্রির প্রস্তাব দেন। তার বাড়ির পাশে ইয়াবা পুতে রাখার ছবিও ফেসবুকে তাকে পোস্ট করেন। ফেসবুকে সুমন পোস্টে লিখেছেন, ‘দ্রুত নিয়ে নে, কোনো প্যাকেট নাই। লোকেশনের ডিজিটাল সিস্টেম কেমন হলো’। এভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলেন তিনি। ইয়াবা কিনতে বিকাশে টাকা পরিশোধের শর্ত দেয়া হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম) নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ‘ব্লকরেড’ দিয়ে সুমনকে আটক করা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে মাদক বেচাকেনার চেষ্টা করছিল। ফেসবুকের সূত্র ধরে আমরা তার কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। মাদককে শক্ত হাতে দমন করার জন্য আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নড়াইলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (৯ নভেম্বর) ২৭৪: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে নড়াইল জেলার সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে নড়াইলের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুউদ্দীন আহম্মেদ, সহকারি পুলিম সুপার জালাল উদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) মেহেদী হাসান, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইলিয়াস হোসেন, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান, কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস, নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনসহ নড়াইল জেলার সকল থানার কর্মকর্তাবৃন্দ। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক বুলু দাস, ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। মতবিনিময় সভা চলাকালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশের মধ্যে যেন কোনো প্রকার গ্রুপিং তৈরি না হয় সেদিকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। কোথাও কোনো প্রার্থী ভোট কাটার চেষ্টা করলে সাথে সাথে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সকলকে নির্দেশ দেন। সেই সাথে সরকার দলীয় প্রার্থীদের কোনোরূপ অনৈতিক সুবিধা দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্যও তিনি বলেন। জনগণের ভোটেই যাতে প্রার্থীরা নির্বাচিত হয় সে লক্ষ্যে পুলিশকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকলকে নির্দেশ দেন। মতবিনিময় সভা চলাকালে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাবৃন্দ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলে পুলিশ সুপার সেগুলি সমাধানকল্পে নানা দিক-নির্দেশনা দেন। সেই সাথে ভোট চলাকালে সকলকে পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্যও বলেন।

নড়াইলে ইয়াবাসহ সাতটি মাদক মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (৭ নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ সাতটি মাদক মামলার পলাতক আসামি মোঃ কামরুল ইসলাম নড়াইল পৌরসভাধীন কুড়িগ্রামের (নিশিনাথ তলা) থেকে ১৫ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে। নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এ এসআই দুরাত আনিচ, এ এসআই মনিরসহ ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে এলাকা থেকে পলাতক আসামি মোঃ কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ১৫ পিচ ইয়াবাও উদ্ধার করে ডিবি পুলিশের চৌকশ টিমের সদস্যরা। মোঃ কামরুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, বলেন, নড়াইল জেলা পুলিশ মাদক নির্মূলে সর্বদা সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ পিচ ইয়াবাসহ সাতটি মাদক মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করে। পরবর্তীতেও এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।

নড়াইলে ডিবি পুলিশের অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে একটি টিভিএস মেট্রো প্লাস মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়েছে। বুধবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে নড়াইলের পার্শ্ববতী জেলা মাগুরার কুচেমোড়া এলাকা থেকে এ চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। জানা গেছে, কুচেমোড়া এলাকায় নড়াইল থেকে চুরি করা একটি মোটরসাইকেল বিক্রয়ের চেষ্টা চলছে মর্মে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর নিকট একটি গোপন সংবাদ আসে। ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই জামারত হোসেনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে এসআই জামারত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে টের পেয়ে মোটরসাইকেল চোরেরা মোটরসাইকেলটি সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম না হলেও চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই জামারত হোসেন চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতেও পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান। ### ছবি সংযুক্ত

নড়াইলে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফুলের শুভেচ্ছা
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (৮ নভেম্বর) ২৭৪: আজ (৭ নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইলে পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত নডাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম ফুল দিযে শুভেচ্ছা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, পুলিশ সুপার,। এই সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মোঃ শরফুদ্দীন, মোঃ মেহেদী হাসান, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল), মোঃ জালাল উদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, নড়াইলবাসির প্রত্যাশিত স্বপ্ন পূরন ঘরে ঘরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ!

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (৮ নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইল জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত হতে শুধু সময়ের ব্যাপার, নড়াইলে নেই কোন লোড শেডিং, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, নড়াইলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ শে¬াগানকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার নড়াইলের জনপদের মানুষের উন্নয়ন অগ্রগতি তরান্বিত ও মানসম্মত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সদরের মুলদাইড় গ্রামে ১টি (১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড) উপকেন্দ্র স্থাপন করে নড়াইলকে জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত করেছে। অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছরের শেষের দিকে এ উপকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হবে। তখন আর নড়াইলবাসি যশোর, নোয়াড়াপাড়া, কুষ্টিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকবে না। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, নড়াইলে আশান্বিত বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ শে¬াগান আজ প্রমাণিত। নড়াইলবাসির দির্ঘবছরের প্রত্যাশিত স্বপ্ন পূরন করেছে এ সরকার। আজ কোথাও কোন লোড শেডিং নেই। বিদ্যুৎ নিয়ে নেই কোন ভাংচুর। কৃষক তার জমিতে সময় মতো পানি দিতে পারছে। পানির অভাবে ধান খেত শুকিয়ে চৌচির হয় না। উলে¬খ্য, এ নড়াইল জেলায় ৩টি পৌরসভায় ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬০৭টি পরিবারের বসবাস। ইতিমধ্যে ওজোপাডিকো লি: ও পল¬ী বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় ১লক্ষ ৩৭ হাজার ৯০২জন বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের তথ্যসূত্রে জানাগেছে, উলে¬খিত তথ্যের মধ্যে ওজোপাডিকো এর আওতায় নড়াইল পৌরসভাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার ৩টি গ্রামে ১৪ হাজার গ্রাহক, পল¬ী বিদ্যুৎ নড়াইল সদর উপজেলায় ২৪০টি গ্রামে ৪১,৫৩৬, লোহাগড়া উপজেলায় পৌরসভাসহ ২২০টি গ্রামে ৪২,৩৬৬ এবং কালিয়ায় পৌরসভাসহ ২৩০টি গ্রামে ৪০হাজার গ্রাহক রয়েছে। এদিকে নড়াইল পৌর এলাকায় উজিরপুর গ্রামে ১টি ব্যাটারী ফ্যাক্টরী(আকুমুলেটর) ও মুলিয়া ইউনিয়নের দূর্বাজুরি এলাকায় ১টি সোলার প্যানেল ও ফিড মিল ভারী শিল্পকারখানাও ওজোপাডিকো বিদ্যুতে পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যানুযায়ি বর্তমান নড়াইলে বিদ্যুৎ গ্রাহকের চাহিদা মিটিয়েও ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মজুদ থাকচ্ছে। এ সরকারের আমলে বিগত সরকারের আমলের মতো নড়াইলবাসি বিদ্যুৎ সংকটে কখনও পড়েনি। আগের তুলনায় বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে কয়েক শতগুণ বেশি। নড়াইলে গ্রাহকের চাহিদা মিটিয়েও বর্তমান ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মজুদ থাকে। বিদ্যুৎ নিয়ে এখন জনমনে কোন অসন্তোষ দেখা যায় না। যার ফলে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে, চুরি ডাকাতি ছিনতাই নেই বললেই চলে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি স্থায়ীত্ব বেড়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেড়েছে সর্বক্ষেত্রে। শ্রমজীবী মানুষ ইজিভ্যান ও ইজিবাইক বিদ্যুৎ চার্জে চালিয়ে শগর গ্রামের আয় বৈষম্য কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সফল বিদ্যুতায়নের ফলে জেলার শিক্ষার মান বেড়েছে, কৃষিপণ্যে বৃদ্ধি ও সরবরাহও বেড়েছে। এ সরকারের সময়কালে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো লি:) নড়াইল জেলায় ১টি ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ করেছে; ৫৩কি:মি: ১৩২ কেভি লাইন নির্মাণ, যা চলমান রয়েছে; ১টি ৩৩/১১ কেভি উপ-কেন্দ্রের পুন:বাসন; ৭কি: মি: ৩৩ কেভি লাইন নির্মাণ; ৪০কি: মি: ৩৩ কেভি লাইন পুন:বাসন করা; ১৮ কি:মি: ১১ কেভি লাইন নির্মাণ; ২৫ কি:মি: ০.৪ কেভি বিতরণ লাইন নির্মান; ২৭টি বিতরণ ট্রান্সফরমার নতুন স্থাপনা; সমগ্র নড়াইল পৌর এলাকায় ফলভাবে ৯৮ ভাগ বিদ্যুতায়ন ; ২টি ভারী শিল্প স্থাপনা করা হয়েছে । এদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রনালয় ২০২১ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে এই খাতকে আগামী তিন অর্থবছর ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছর পর্যন্ত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছর বিদ্যুৎখাতে ২১ হাজার ৪৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতের ৮২টি প্রকল্পের বিপরীতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দের মধ্যে সরকারি অর্থ থাকবে ৯ হাজার ৫১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৫৫৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এরমধ্যে ১৩টি প্রকল্পের জন্য নিজস্ব বরাদ্দ থাকবে ৯২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে নেয়া হবে ৭০৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এই তহবিলের টাকায় ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। সরকারের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎখাতে প্রতিবছর মোট খরচ ২০ দশমিক ৬ শতাংশ হারে বাড়ানো হবে। সে হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২২৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করা হবে। তাছাড়া ২০২১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াটের পরিবর্তে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালে ৩৪ হাজার মেগাওয়াটের পরিবর্তে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিবকল্পনা করা হয়েছে। আর এসব বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সংশি¬ষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ফলে আগামীতে নিরববিছন্ন ও কুয়ালিটি বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে। বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০১৭-২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইন নির্মাণের জন্য এ খাতের বরাদ্ধ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। সর্বোপরি ২০২১ সালের মধ্যে সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার সরকারি ভিশন বাস্তবায়নে এ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নড়াইলের বাগডাঙ্গা গ্রামের আকতার মোল্যা, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, বলেন, নড়াইলে আশান্বিত বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, নড়াইলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ নেই কোন লোড শেডিং ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *