ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে বক্তাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুই-একজনকে দেখলাম খুবই তাফালিং করছেন।’
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাতে গণভবনে বামজোটের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবার হাঁড়ির খবর আমরা জানি। যারা যারা বড় বড় কথা বলেন এ রকম দুই-একজনকে দেখলাম খুবই তাফালিং করছেন।’
কাদের বলেন, ‘আমি পরিবহন ডিল করি তো ওরা তাফালিং, একটা শব্দ ব্যবহার করে। তাফালিংটা এমনভাবে করে- এরা আবার ভদ্রমূর্তি ধারণ করে। এ রকম ভাষা, এত নোংরা ভাষা। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বার বার হাসিনা হাসিনা বলে-এই টোনটা কি দেশের মানুষ পছন্দ করে?’
**নির্বাচন না করে মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাদের যে জনসভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেখানে যেরকম ভালগারিজম, এটা আমরা নতুন করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখলাম।’
‘দেখলাম মানুষের হতাশা যখন বেড়ে যায়, তখন মানুষ বেপোরোয়া হয়ে যায়। অনেক নেতার বক্তব্যে এটাই মনে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত শালীনতা নিয়ে কথা বলা হয়নি। ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) নামটিও উচ্চারণ করা হয়েছে অশালীনভাবে। কার মনে কি কারণে যন্ত্রণা, কি কারণে আঁতে ঘা লাগে, আমি এটা খুব ভালো করে জানি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লেখালেখি করছেন আজ আবার এক হাত নিলেন। তো এগুলো কেউ ভালো চোখে, ভালোভাবে নেয় না।’
‘তাদের আমি বলবো যৌক্তিকভাবে কথা বলতে। ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে কথা বললে এটা কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে না।’
আন্দোলন করুন, আর আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবো?
জাতীয় ঐক্যের আন্দোলনের হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসুন আন্দোলন করুন, আমরা ঘরে বসে বসে… আপনারা আন্দোলনের নামে রাস্তায় নাশকতা করবেন, সহিংসতা করবেন, আর আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবো। এটা যেন মনে না করেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন কোনো সরকার নেই। যে সরকার আছে এই সরকারই।’
আগামীকাল পর্যন্ত শুনতে থাকবো
আট দলীয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে সংলাপ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা এটাও মনে করছেন যে সাংবিধানিকভাবে, সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করা সম্ভব, সংবিধানের মধ্যে থেকেও আরও কিছু সমস্যা আছে যেগুলো সমাধান করা সম্ভব।’
কাদের বলেন, ‘আমরা শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোযোগ দিয়ে সবার কথা শুনছেন। বাম জোটের প্রতিটি দল থেকে কথা বলেছেন। তাদের ভিন্ন মতের কথা তারা স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেছেন।’
‘আমরা তাদের সব বক্তব্য শুনেছি। আগামীকাল পর্যন্ত শুনতে থাকবো।’
বুধবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তারা ১১ জন আসবেন। তারা দ্বিতীয় দফা সংলাপে অংশ নেবেন। বিকেলে ২৫টি দলের সঙ্গে সংলাপ আছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কাল কি আলোচনা হতে পারে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘কী বাকি আছে সেটা জানতে চাইবো কালকে।’
আগামী ৮ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়ে কথা বলবেন বলেও পুনরুল্লেখ করেন তিনি।