টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সশস্ত্র হামলায় একই পরিবারের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহতরা হলেন নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের আই ব্লকের ৫৫৮ নং শেডের ১ নং রুমের বাসিন্দা মো. হোছনের পুত্র আজিজুল হক (৪৫), তার স্ত্রী তৈয়ুবা খাতুন (৩৫) ও ছেলে হোসেন জোহার (১৪)।
নয়াপাড়া ক্যাম্পের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিদুয়ান আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আজিজের বুকে, স্ত্রী ও ছেলের কোমর-হাতে গুলি লেগেছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তিনি।
এদিকে নয়াপাড়া ক্যাম্প ইনচার্জ শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, গত ৩০ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ আজিজসহ ক্যাম্পের বাসিন্দারা জিয়াউর রহমান নামে এক ডাকাতকে আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এর প্রতিশোধ নিতে ক্যাম্পের চিহ্নিত ডাকাত সর্দার নুরুল আলমের নেতৃত্বে আজিজ ও তার পরিবারের উপর হামলা হয়েছে বলে ধারনা করছেন তারা।
হামলার সময় ডাকাত দল একটি বাহিনীর পোষাকের আদলে তৈরী পোষাক পরিহিত ছিল বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। ক্যাম্পের বাসিন্দারা আরো জানান, রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন আরসা’র সদস্য নুরুল আলম নয়াপাড়া আনসার কমান্ডার হত্যা ও অস্ত্র লুট মামলার অন্যতম হোতা। আনসার কমান্ডার হত্যা মামলায় সে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে আসে। এরপর রোহিঙ্গা সশস্ত্র ডাকাতদল গঠন করে নয়াপাড়া ও আশেপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। একের পর হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ ও নানা অপরাধ সংগঠিত করতে থাকে। তার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সাদেক, আজিমুল্লাহ, সেলিম, জহির, রাজ্জাকসহ অর্ধ শতাধিক সদস্য রয়েছে বলে জানা গেছে।