সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে আবার চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এবারের চিঠিতে ক্ষুদ্র পরিসরে সংলাপ আয়োজনের তারিখ নির্ধারণের আহ্বানও জানানো হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১.৩০-এর দিকে ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে গিয়ে চিঠিটি দিয়ে আসে।
আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির দফতর বিভাগের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন হোসেন ও জি এম মাসুদুল হাসান চিঠিটি গ্রহণ করেন।
প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন আ ও ম শফিকউল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোস্তাক আহমেদ।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফা সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
গত রাতে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠকের শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত ১ নভেম্বর সংলাপ হয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে। সেই সংলাপে সাত দফা দাবির পরিপ্রেেিত ভবিষ্যতে সীমিত পরিসরে আরো আলোচনা হতে পারে। যেহেতু তিনি বলেছিলেন যে, সংলাপ অব্যাহত থাকবে, স্বল্পপরিসরে আলোচনা হতে পারে। সেই পরিপ্রেেিত চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা যাতে না করে ইতোমধ্যে ইসিকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে এবং সেই বিষয়টি এই চিঠিতে উল্লেখ থাকবে।
ফখরুল বলেন, আমরা আশা করব ভবিষ্যতে সংলাপের েেত্র ুদ্র পরিসরে আলোচনা হবে। আমরা মনে করি, বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে সমাধানে ল্েয এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।
জানা গেছে, আগামীকাল স্টিয়ারিং কমিটির নেতারা আবারো বৈঠকে বসবেন। তফসিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত দেখে তারা পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাতে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়। ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আ স ম আবদুর রব, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল মালেক রতন, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, আ ব ম মোস্তফা আমিন, ডা: জাহেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।