গতকাল মঙ্গলবার ছিল হ্যালোউইন। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর সারা বিশ্বে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এই দিন পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করে উদযাপন করেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী বদলে যায় হ্যালোউইন পালনের রীতি। কোথায়, কবে থেকে শুরু হল হ্যালোউইন উদযাপন? জেনে নিন, সেই ইতিহাস-
আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড, এবং উত্তর ফ্রান্সে প্রাচীন কেল্টিক উত্সব হিসেবে শুরু হ্যালোউইনের। কেল্টিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন ১ নভেম্বর। এই অঞ্চলের প্রাচীন বাসিন্দারা মনে করতেন, ১ নভেম্বরের আগের রাতে মানে ৩১ অক্টোবর রাতে জীবিতের সঙ্গে মৃতরা দেখা করেন। ওই দিন জাগতিক সব কিছুর সঙ্গে ভৌতিক দুনিয়া মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। ষোড়শ শতকে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলসের অধিবাসীরা ভূতুরে পোশাকে প্রতিবেশীদের দরজায় গিয়ে গান বা কবিতা শোনানোর বিনিময়ে খাবার চাইতো।
অষ্টম শতাব্দীতে পোপ জর্জ থ্রি (৩) ১ নভেম্বর দিনটিকে জীবিত ও মৃতদের দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। ১ নভেম্বরকে বলা হয় ‘অল সেন্টস ডে’। তার ঠিক আগের দিন সন্ধ্যাবেলাকে বলা হয় ‘অল হ্যালো’স ইভ’ যা পরবর্তীকালে হ্যালোউইন নামেই পরিচিত হয় সারা দুনিয়ায়।
উনিশ শতক থেকে ব্যাপক হারে অভিবাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পালিত হতে থাকে হ্যালোউইন।
ইতিহাসবীদদের মতে, ষোড়শ শতকে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলসের অধিবাসীরা অতৃপ্ত আত্মা দূরীকরণে টারনিপের ব্যবহার করতেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টারনিপ চাষ হয় না। কিন্তু উনিশ শতক থেকে মার্কিন মুলুকেও ব্যাপক হারে পালিত হতে থাকে হ্যালোউইন। তাই অভিবাসনের পর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডের অধিবাসীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর হ্যালোউইনে টারনিপের বদলে কুমড়া ব্যবহার করতে শুরু করেন।