আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে আটককৃতদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
অভিযুক্তরা হলো- কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার আব্দুল হামিদের ছেলে রেজাউল করীম (১৮), রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার দুুুদু মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (১৮), মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেকের ফরহাদ মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (১৯), কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার ইনসার আলীর ছেলে নূরে আলম (১৯) এবং নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার লিটন শেখের ছেলে সুজন (২০)। এদের মধ্যে রেজাউল করিম, মুছা মিয়া ও মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে নূর আলম ও সুজন পালাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী কয়েকদিন আগে কুড়িগ্রাম থেকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় তার খালাতো বোনের বাড়ি বেড়াতে আসে। রাত ৯টার দিকে পার্শ্ববর্তী এক আত্মীয়ের বাসা থেকে রাতের খাবার খেয়ে বোনের বাসায় ফেরার পথে পলাশবাড়ির বটতলা লেবুবাগান এলাকায় পৌছালে অভিযুক্তরা তার পথ রোধ করে এবং তার ওড়না দিয়ে মুখ বেধে জোরপূর্বক পার্শবর্তী কলাবাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। পরে তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক দীপু। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় ওই ছাত্রীর দরিদ্র নানি ঘটনাটি ভয়ে চেপে যান।
পরে গোপনে স্থানীয়ভাবে ওই ধর্ষিতাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ, তাদের দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় শিশুটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ধর্ষিতা শিশুটিকে আশুলিয়ার এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়।