ঢাকা: কাদের সিদ্দিকী কোন জোটে যাবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত। ওইদিন তিনি ঘোষণা করবেন তার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ কোন জোটে যাবে।
আজ রাজধানীর মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কাদের সিদ্দিকী জানান, ২০১৫ সালে তিনি দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফুটপাতে আমরণ অনশন করেছিলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংলাপে বসার এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু এতদিন পরে হলেও সংলাপ হতে যাচ্ছে, এটা সময়ের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, আগামী ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানেই পরিস্কার করা হবে যে আসন্ন নির্বাচনে তার দল কী পদক্ষেপ নেবে বা কোন জোটে যাবে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রাজনীতি করতে হলে চাড়াল-মুচি তাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে হয়।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সমাজ চাই, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। আজকে শ্রমিকের মুখে কালি মাখা হলো। এই কালি শ্রমিকের মুখে মাখেনি, এটা আসলে দেশ ও জাতির মুখে মেখেছে।
তিনি বলেন, প্রতি মুহুর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। সংলাপ ডাকার আগে দেশে অস্থিরতা ছিল। এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। এই উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।