রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদীঘাট জেএম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়া হয়। বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার সকল খচর বিনা মূল্যে করে দেয়ার কথাও বলেন ওই শিক্ষক।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্ত রির্পোট জমা দেবে তদন্ত কমিটি। দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিতে ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম, সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জুলফিকার আলম।
তদন্ত কমিটির প্রধান মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। এর সাথে ওই ছাত্রী ও তাঁর মায়ের বক্তব্য নেয়া হয়। এতে প্রধান শিক্ষক ওই মেয়ের দারিদ্রের সুযোগে নিয়ে তাঁর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চেয়ে প্রস্তাব দেয়। তাঁর (শিক্ষক) বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রমাণও মিলেছে। তবে ওই সকল ছাত্রী এখন বিদ্যালয়ে পড়ে না। যার ফলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, দারিদ্রতার সুযোগে আমার মেয়ের সাথে ওই শিক্ষক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলতে চেয়েছিল। এমন আরো অনেক মেয়েদেরকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। তারা ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি। আমি দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি, যাতে ওই শিক্ষক ভবিষ্যতে অন্য কোন মেয়েকে এমন কুপ্রস্তাব দিতে না পারে।