স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ থাই যুবরাজের

সারাবিশ্ব

image_162527.thai juborajথাইল্যান্ডের যুবরাজ স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটালেন। ফলে রাজকীয় মর্যাদা হারালেন প্রিন্সেস শ্রীরাশমি। থাই রাজার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে এবং দুর্নীতির কেলেঙ্কারির কারণে প্রিন্সেসের কয়েকজন আত্মীয়কে আটকের পর বিচ্ছেদের এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
শুক্রবার রয়্যাল গেজেটে প্রকাশিত প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রিন্সেস শ্রীরাশমির রাজকীয় মর্যাদা বাতিল করা হলো। এর মধ্য দিয়ে প্রিন্স মাহা ভাজিরারংকর্ণের সঙ্গে শ্রীরাশমির ১৩ বছরের বিয়ের ইতি ঘটলো।
সংক্ষিপ্ত এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীরাশমিকে তার রয়্যাল স্টেটাস হারানোর কথা প্রিন্স মাহা ভাজিরারংকর্ণ এক লিখিত ডুকমেন্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন। রাজার অনুমোদনের পর এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিচ্ছেদের এ ঘটনার কারণে ভবিষ্যতে দেশটির রাজত্বের সংকট আরো গভীর হবে। কারণ ৮৭ বছর বয়স্ক থাই রাজা ভূমিবল আদুলায়াদেজের শারিরীক অবস্থার কারণে তার রাজ্যশাসন প্রায় অস্তমান।
এদিকে কয়েক মাসের সহিংস বিক্ষোভের পর চলতি বছরের মে মাসে দেশটির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারী সেনাবাহিনী বলছে, রাজতন্ত্র রক্ষায় এবং রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে আরো কিছু করা প্রয়োজন।
প্রিন্স মাহা ভাজিরারংকর্ণের সঙ্গে শ্রীরাশমির ২০০১ সালে বিয়ে হয়। ধারণা করা হয়েছিল শ্রীরাশমি দেশটির রানি হবেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেই হয়তো প্রিন্স মাহা ভাজিরারংকর্ণের উত্তরাধিকার হবেন।
রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের মিথ্যে দাবি করে বেশ কয়েকজন লোক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে। পুলিশ বলছে, এ ধরনের প্রায় বিশের অধিক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে প্রিন্সেসের অন্তত তিনজন আত্মীয় রয়েছে। এ ঘটনার পর শ্রীরাশমির ভাগ্য নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *