মোঃ জাকারিয়া, গাজীপুর অফিস: গাজীপুর মহানগরের ছোট দেওড়া এলাকায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে নগরের ছোট দেওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গাজীপুর সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর জানান।
নিহত আব্দুল মোতালেব (৩২) ওই এলাকার ঠিকাদার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের একাংশের সভাপতি। ওই ওয়ার্ডে যুবলীগের দুটি কমিটি আছে বলে জানা গেছে। মোতালেব যুবলীগ নেতা আলমগীরের অনুসারী।
আহত মোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোতালেবের চাচা লোকমান বলেন, সকালে স্থানীয় নাজিম উদ্দিনের ছেলে ও যুবদল কর্মী জহির উদ্দিন মোবাইলে ফোন করে তার ভাতিজাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
“পরে বাসা থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় ফিরোজ ও ফাইজুলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত মোতালেবকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় আমার ভাই ছেলেকে বাঁচাতে সেখানে গেলে তাকেও এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।”
পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোতালেবকে মৃত ঘোষণা করেন বলে লোকমান জানান।
তিনি বলেন, “মোতালেবের গলা, মাথা ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। মোফাজ্জলের দুই হাত ও একটি পা ভেঙ্গে ফেলেছে; তার মাথা এবং শরীরেও ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। ”
শহীদ তাজউদ্দন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, মোতালেবকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য মোফাজ্জলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহজাহান মিয়া সাজু বলেন, পাশের ভোরা এলাকার লস্কর পরিবারের সঙ্গে মোতালেবদের বিরোধ চলছিল।
“দুইদিন আগে মোতালেবের নেতৃত্বে স্বপন লস্করের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরেও এ হত্যাকণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে ওসি সমীর জানান।