শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: ‘পরীক্ষা দিতে চাও। তাহলে আমার সঙ্গে রাত কাটাতে হবে।’ এভাবেই গাজীপুরের শ্রীপুরে বলদীঘাট জেএম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিকগোষ্ঠী আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক ছাত্রীকে মোঠোফোনে কুপ্রস্তাব দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো.সিরাজুল হক। ইতো মধ্যে কুপ্রস্তাবের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ফেসবুকে’কে ফাঁস হয়েছে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তার সঙ্গে রাত না কাটালে জেএসসি পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন না। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ঐ ছাত্রী।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, আর্থিক সমস্যার কারণে মেয়ের পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারছে না ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার। গত ২৭ অক্টোবর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে অল্প টাকায় ফরম করার কথা বললে তাঁর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলার প্রস্তাব দেয়। এবং যতদিন বিদ্যালয়ে পড়বে ততদিন তাঁর কোন খরচ হবে না বলেও জানান। এমন প্রস্তাব পেয়ে স্কুল ছাত্রী লজ্জায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ত্যাগ করে। এরপর অনেকবার তাকে ফোনেও কুপ্রস্তাব দেয় ওই শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয় তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠানে কেউ তাঁর সন্তানদের লেখা পড়া করার জন্য দিবে না।
অভিভাবকরা বলেন, এ বিদ্যালয়ে আমাদের ছেলে মেয়েদের কি ভাবে পড়াতে দিব। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, রাগের সময় আমি কিছু অশালীন কর্তাবার্তা বলে ফেলেছি।
তবে আপত্তিকর কোন কথা আমি বলিনি।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনা আকতার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।