ঢাকা: পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই মুহূর্তে আইন পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে তা পরিবর্তন করতে পারব না। পরবর্তী পার্লামেন্ট পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে। আজ রবিবার রাজধানীর সেতু ভবনে ইউরোপিয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, একটু ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করবেন, এর মধ্যে কোনো ন্যায় সঙ্গত বিষয় থাকে তাহলে পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে বিবেচনা করা হবে। ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোন লাভ নেই।
সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে আজ রবিবার সকাল থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা। এর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল পার্লামেন্ট শেষ হবে। এরপর পার্লামেন্টের কোনো সদস্য ক্ষমতা প্রয়োগ অথবা কোনো কাজ করতে পারবে না। এমনকি নির্বাচন বিধির আচরণ সবাইকে সমানভাবে মানতে হবে।
এ ছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা ৭ দফা দাবি দিয়েছে। এই মুহূর্তে ৭ দফা মেনে নিতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যা কোন অবস্থাতেই সম্ভব না। কাজেই এই দাবির ব্যাপারে তারা যদি স্ট্রাইক করেন, অনড় থাকেন তাহলে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি হতে পারে। যেখানে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে, যেটা তাদের দরকার একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নতুন করে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি গঠন করে সকল দলের প্রতিনিধিকে নিয়ে ইলেকশন কমিশন গঠিত হয়েছে। কাজেই এটা পরিবর্তন করার কোনও সুযোগ নেই। তার পরও যদি পরিবর্তন চায় তাহলে আসলে ইলেকশন চায় কিনা সেটাও আমাদের বড় প্রশ্ন। এবং সাত দফার মধ্যে যে দাবি আছে সেগুলো এই মুহূর্তে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।