রক্তে চিনি বাড়ছে? ডায়াবেটিসের জন্য মিষ্টি বন্ধ? দিনদিন বুড়িয়ে যাচ্ছেন? হাতের নাগালেই মুশকিলে আসান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস মেথির পানি খেলে শরীরে ফিরবে শক্তি।
হার্টও থাকবে ভালো। এছাড়া স্বাদ যতই তেতো হোক, ডায়াবেটিসের জম মেথি।
রক্তে চিনি কমাতে কীভাবে ব্যবহার করবেন মেথি?
মেথি খাওয়ার আগে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে। দিনে দুবার ২.৫-১৫ গ্রাম মেথি খেতে হবে। তেতো মেথি পছন্দ না করলে মেথি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায় মেথি। সেটি খাওয়া যেতে পারে। খাবারের সঙ্গে মেথি মিশিয়ে খেতে হবে। খাওয়া যেতে পারে মেথির চা।
হালকা গরম পানিতে মেথি মিশিয়ে ভালোই খাওয়া যেতে পারে। তবে শুধু মেথি খেলেই হবে না। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
৬ মাসের বেশি মেথি খাওয়া যাবে না। কারণ, বেশি মেথি খেলে কিছু সাইড এফেক্ট হতে পারে। ডায়ারিয়া, গ্যাস বা পেটের গন্ডগোল। অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুদের মেথি না খাওয়াই ভাল।
শুধু ডায়াবেটিস নয়। মেথি মহৌষধ। মেথির রসে সাপোনিস ও ডায়োজেনিন নামে যৌগ পদার্থ আছে। মানুষের শরীরে হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। প্রতিদিন পরিমিত মেথির রস খেলে পুরুষের যৌনক্ষমতা বাড়ে।
মেথিতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ও নিয়াসিন। ত্বককে রাখে সতেজ, টানটান বার্ধক্য দূরে ঠেলে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করে।
ভেজা পরিষ্কার কাপড়ে মেথিদানা গুঁড়ো করে ফোড়া, পোড়া ও বিভিন্ন চর্মরোগে ব্যবহার করলে উপকার মেলে। মুখের ব্রণ, কালো দাগ, ফুসকুড়ি উধাও হয়।
মেথি স্ট্রোকের প্রবণতা অনেকটা কমে যায়। সকালে খালি পেটে মেথিদানা চিবিয়ে খেলে ওজন কমে।
লেবু ও মধুর সঙ্গে মেথিদানা গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা ও কাশি কমে। দেহের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
মেথি বেঁটে চুলে লাগালে চুল পড়া কমায়, চুল ঘন হয়। খুসকি কমায়, চুল হয় আরও উজ্জ্বল।
তবে মেথি ভিজিয়ে পিষলে পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। রোদে শুকিয়ে নিয়ে খেলে মচমচে লাগবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে বা একগ্লাস পানিতে মেথি মিশিয়ে খান।