ঢাকা: বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামমাত্র নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ঘরের মধ্যে সভা করতেও পুলিশের অনুমতি লাগে। পুলিশ ধরপাকড় করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মাহমুদুর রহমান এ কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদে ওই সভা হয়।
বুধবার সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা উপলক্ষে পুলিশের ধরপাকড়ের কথা উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের জনসভা উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সিলেটের কেন্দ্রীয় সভাপতির বাসায় প্রস্তুতি কমিটির সভায় পুলিশ গিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের কারণ জিজ্ঞেস করলে পুলিশ ঘরের মধ্যে সভা করার অনুমতিও চায়।’
মান্না আরও বলেন, ‘ঘরে অনুমতি লাগবে, পূর্বাণীতে অনুমতি লাগবে, কয়েক দিন পর হোটেলে বসে চা খেতে খেতে রাজনীতি নিয়ে গল্প করতেও অনুমতি লাগবে। এই দেশে তাদের কথা ছাড়া কিছু করা যাবে না।’
শুক্রবার ঐক্যফ্রন্টের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে হোটেল পূর্বাণীতে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা। তবে মান্না জানান, তাঁরা তিন দিন আগে গিয়ে পূর্বাণীতে কথা বলে এসেছেন। পূর্বাণী কর্তৃপক্ষ হলরুম খালি থাকার কথাও জানায়। মান্না অভিযোগ করেন, হোটেল ঘুরে আসার পরদিন তাঁদের পূর্বাণী থেকে জানানো হয়, সেখানে সভা করতে হলে পুলিশের অনুমতি লাগবে। তিনি ডিএমপি কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন। তবে এখনো কোনো জবাব পাননি বলে জানান। এ ছাড়া ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের কর্মসূচির জন্য লালদীঘি মাঠের অনুমতিও পায়নি ঐক্যফ্রন্ট। তবে মান্না বলেন, অনুমতি না মিললেও তাঁরা সেখানে যাবেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো আর নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘এই জুলুমবাজ সরকারের কোনো মানবতা নেই। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সম্প্রচার আইন, গুম-খুন, বিনা বিচারে আটকে রাখা ও গায়েবি মামলার বিরুদ্ধে কোনো আইনি লড়াই করা যায় কি না, আইনজীবীদের তা ভেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে মান্না বলেন, অনেকেই আছে কীভাবে টাকাপয়সা কামানো যায়, সে ভাবনাতেই থাকে। নিজের জন্যই চেষ্টা করেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কল্যাণকর রাষ্ট্র চায়। মানুষের শক্তির ওপর নির্ভর করে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফজলুল হক সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহিদুর রহমান, আইনজীবী মাসুম ভূঁইয়া প্রমুখ।