আন্টার্কটিকার বরফময় ভূপ্রকৃতিতে হঠাৎই জেগে উঠল ‘গান’। অপার্থিব সেই গানের সুর।
তারই এক রেকর্ডিং নিয়ে আপাতত ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘লাইভসায়েন্স.কম’ থেকে জানা যাচ্ছে, আন্টার্কটিকার রস আইস শেলফ অঞ্চলে শোনা গেছে এই ‘ভৌতিক’ সঙ্গীত। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, বরফের পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে যখন হাওয়া বয়, তখনই এই ‘সুর’ সৃষ্টি হয়। এই সুর মানুষের কানে পৌঁছনোর কথা নয়। কারণ, যে তরঙ্গে এই শব্দ উত্থিত হয়, তা মানুষ শুনতে পায় না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সিসমিক সেন্সর ব্যবহার করে সেই ‘সঙ্গীত’কে শ্রবণযোগ্য করে তুলেছেন। এবং তা রেকর্ড করে জনসমক্ষে নিয়ে এসেছেন।
খবরে বলা হয়েছে, দু’বছর ধরে বিজ্ঞানীরা রেকর্ড করেছেন এই তরঙ্গকে। তাঁরা দেখেছেন নিরন্তর ভাবে ৫ হার্ৎজ তরঙ্গে এই সঙ্গীত হয়ে চলে।
স্থানীয় ভাবে উত্থিত বাতাসই বরফের ফাঁকে প্রবেশ করে এই সুর সৃষ্টি করে। হাওয়ার গতি এবং বরফের তলের তারতম্যের কারণে এই সুরও ওঠানামা করে।
বিজ্ঞানীরা ৩৪টি সিসমিক সেন্সর বসান রস আইস শেলফ অঞ্চলে। ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সময়ে এই কাজ তাঁরা সম্পন্ন করেন। এই সেন্স বসানো হয়েছিল ওই অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংগ্রহের জন্য। কিন্তু তাতেই ধরা পড়ে এই ‘গান’।
গবেষক দলের প্রধান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতজ্ঞ ও ভূ-পদার্থবিদ জুলিয়ান শাপুত জানিয়েছেন, রস আইস শেলফের এই সঙ্গীত অনেকটা নিরন্তর ভাবে বাজানো বাঁশির মতো। তবে ঝড় হলে তারও গতিতে পরিবর্তন আসে।
‘জিওফিজক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ নামের এক জার্নালে গবেষকদের এই পর্যবেক্ষণ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।