ঢাকা: নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের এবং যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা এবং সহিংসতার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট আছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রশাসন প্রস্তুত আছে। সব ধরণের অনৈতিক কার্যকলাপ প্রশাসন কঠোর হস্তে দমন করবে।
ঢাকা মহানগরীতে যানজট নিরসনে চলতি বছরে তৃতীয় বারের মত কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে কমিশনার জানান, ঢাকা মহানগরে যানজট নিরসনে ২৪ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ দিন বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ পালিত হবে। এখানে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ২১৬ জন রোভার স্কাউট এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কাজ করবে।
বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ চলমান অবস্থায় পথচারীরা আইন মানলেও কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে আর আইন মানে না এটা কি লোকবলের কারণে এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, লোকবলের কারণেও এটা হয়, আবার আমাদের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতা এবং নিজেদের সচেতন না হওয়ার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি বছরে আমরা দুইটা ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছি এবং আরেকটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজের সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হয় আইন শৃঙ্খলা মেনে চলে তাহলে অধঃস্তনরাও আইন মানতে বাধ্য হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ট্রাফিক আইনের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি। যার কারণে সেটার অনেক উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নতিকে স্থায়ী করতে আমরা বিভিন্নভাবে সচেতনামূলক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।
টিভিতে বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণ করে, ট্রাফিক গাইড বই বিতরণ করার মাধ্যমে এসব সাধারণ পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।
সাধারণ জনগণের সঙ্গে পুলিশের অপেশাদার আচরণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, পুলিশের এই অপেশাদার আচরণ আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে । আগে প্রায় প্রতিদিন একটা করে অভিযোগ আসতো এখন মাসের একটা বেটা সে আর পুলিশ সদস্যের কেউ যদি এমন আচরণ করে তাহলে তার দায় পুলিশ নিবে না তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কয়েকদিন আগে এক নারী যাত্রী হয়রানির অভিযোগে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের ডিসিকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।